হরিয়ানার বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় বন্যার সতর্কতা
দিল্লি-এনসিআর জুড়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যমুনার জলস্তর বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পেয়ে রাজধানী এবং সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত করছে। ইতিমধ্যেই অনেক এলাকায় কোমরসমান থেকে হাঁটুসমান জল ঢুকে পড়েছে। আতঙ্কে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে যমুনা বাজার এবং আশপাশের লোকালয়ে নদীর জল ঢুকতে শুরু করে, যা ক্রমশ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ যমুনার জল বিপদসীমা অতিক্রম করে ২০৫.৬৮ মিটার ছুঁয়েছে। বিকেল নাগাদ তা আরও বাড়বে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। হরিয়ানার হাতিকুণ্ড বাঁধ থেকে টানা জল ছাড়া হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করেছে। সোমবার থেকে বাঁধের ১৮টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৯,৩১৩ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে যমুনার জলস্তর ২০৬.৫০ মিটার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি জলস্তর ২০৭ মিটার বা তার বেশি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত।
লোহাপুলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং বিকেল ৫টার পর থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজধানীর নিচু এলাকাগুলিতে জল ঢুকে পড়ায় বাসিন্দারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য এলাকা ছাড়ছেন। প্রশাসন বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
গুরুগ্রামে টানা বৃষ্টির ফলে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। প্রশাসন সাধারণ মানুষকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন রাতভর জলস্তর নজরদারি করেছে, তবে মঙ্গলবার সকাল হতেই যমুনা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, যমুনা পাড়ের কিছু এলাকা প্লাবিত হলেও শহরের ভেতরে বন্যার বড় প্রভাব পড়বে না। তবুও, সতর্কতা ও সুরক্ষার জন্য জরুরি পরিষেবা থেকে শুরু করে উদ্ধারকাজের দলগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাজধানী দিল্লি ও এনসিআরের বাসিন্দাদের জন্য এটি চরম দুর্দশার সময়। নদীর জলস্তর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্ক। মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। এখন সবার চোখ প্রশাসনের উপর, কিভাবে তারা এই সংকট মোকাবিলা করে রাজধানীকে বাঁচায়।
ওড়িশায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি, ১৩৯৬ কোটির প্রতারণা মামলায় উদ্ধার কোটি টাকার সম্পদ

