১৩৯৬ কোটির প্রতারণা মামলায় উদ্ধার কোটি টাকার সম্পদ
১৩৯৬ কোটি টাকার ব্যাংক প্রতারণা মামলার তদন্তে বড় সাফল্য পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার ভুবনেশ্বরে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ইডি উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। শক্তিরঞ্জন দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিস ঘেঁটে মিলেছে কোটি টাকার গয়না, নগদ টাকা এবং বিলাসবহুল যানবাহনের স্তূপ।
ইডি সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া গয়নার বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকার বেশি। তার সঙ্গে মজুত নগদ ১৩ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে মোট ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি এবং তিনটি সুপারবাইক, যা নজর কেড়েছে সবার। শক্তিরঞ্জন দাসের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়, সেখান থেকেই মেলে এই বিপুল সম্পদের খোঁজ।
২০০২ সালে ওড়িশার একটি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রথম ওঠে ব্যাংক প্রতারণার অভিযোগ। তদন্তে জানা গিয়েছে, সংস্থাটি একাধিক ভুয়ো কোম্পানির নামে শক্তিরঞ্জন দাসের সংস্থার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫৯ কোটি টাকা সরিয়ে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার তদন্ত চলছিল। ইতিমধ্যেই ইডি এই মামলায় প্রায় ৩১০ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। এবার শক্তিরঞ্জন দাসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ায় প্রতারণার জাল আরও গভীরে পৌঁছচ্ছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রতারণার এই চক্র কতদূর বিস্তৃত, এবং আরও কারা এর সঙ্গে যুক্ত, তা খুঁজে বের করাই এখন মূল লক্ষ্য। এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নথি, ব্যাংক লেনদেন এবং সম্পত্তির নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই প্রতারণা কাণ্ডে আরও বড় অঙ্কের অর্থ গোপন থাকতে পারে।
প্রশাসনিক মহলের মতে, দেশের অন্যতম বড় এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির সাম্প্রতিক অভিযান গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দিয়েছে। তদন্ত চলবে আরও কয়েকদিন। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই এই প্রতারণা চক্রের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সামনে আসবে।
চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে দৃঢ় সংকল্প ভারত, এসসিও শীর্ষবৈঠকে নতুন কূটনৈতিক দিশা খুঁজছেন মোদী

