Monday, December 1, 2025

বাংলাদেশে পুশব্যাক বিতর্ক: অন্তঃসত্ত্বা সোনালির মামলার দ্রুত শুনানির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Share

অন্তঃসত্ত্বা সোনালির মামলার দ্রুত শুনানির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

বাংলাদেশে পুশব্যাক হওয়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগে আলোড়ন তৈরি হয়েছে বীরভূমে। অভিযোগ, বীরভূমের আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি এবং তাঁর পরিবারকে বেআইনিভাবে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলার দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, মামলাটি এখন কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শুনবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতিরা বলেন, “হাই কোর্টে মামলাটি শোনার কোনও বাধা নেই। আমরা অনুরোধ করছি, যত দ্রুত সম্ভব মামলাটি শোনা হোক।” এই নির্দেশের ফলে সোনালি ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্নটি আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।

এই অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে হেবিয়াস কর্পাস মামলা। সোনালি ও তাঁর পরিবারের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগ ঘিরে এই মামলা দায়ের হয়। বিষয়টি সামনে আসতেই মানবাধিকার সংস্থাগুলি এবং নাগরিক সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এরই পাশাপাশি, আরেকটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হচ্ছে। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ শুক্রবার আদালতে এই বিষয়টি তুলে ধরে জানান, “পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের ভাষা একই। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বললেই তাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে। কোনও নিয়ম বা প্রক্রিয়া মেনে আটক করা হচ্ছে না।” তাঁর অভিযোগ, এই পরিস্থিতি বাঙালি শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

প্রশান্ত ভূষণ জানান, এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকার কারণে হাই কোর্ট শুনানি স্থগিত রেখেছিল। তবে শীর্ষ আদালতের নতুন নির্দেশে হাই কোর্টে মামলার শুনানি দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সোনালি বিবির ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাকে তাঁর পরিবারসহ পুশব্যাক করার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। এটি শুধু মানবিকতার পরিপন্থী নয়, আইনবিরোধীও হতে পারে।

বীরভূমের এই ঘটনা এবং বাংলাভাষীদের আটক হওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে। মামলার দ্রুত শুনানি নিশ্চিত হলে বাস্তব ঘটনা এবং দায়ী পক্ষদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ শুধু সোনালির পরিবারের জন্যই নয়, বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নেও গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। এখন নজর থাকবে কলকাতা হাই কোর্টের দিকে, যেখানে আগামী দিনে এই মামলার দ্রুত শুনানি শুরু হবে।

ছবিমুক্তির আগেই কোটির ঘরে নন্দিতা-শিবপ্রসাদ! টলিউডে বাজিমাত এই জুটির

Read more

Local News