Monday, December 1, 2025

মোহনবাগান-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব চরমে! শুভাশিসের চোট নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে

Share

মোহনবাগান-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব চরমে!

ভারতীয় ফুটবলের অন্দরমহল আবারও দ্বন্দ্বে কাঁপছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস এবং সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-এর মধ্যে সংঘাত এখন মূলত ঘিরে রয়েছে দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসুর চোটকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনাকে ঘিরে অভিযোগ-প্রতিঅভিযোগে জমে উঠেছে ফুটবল মহল।

মোহনবাগানের দাবি, শুভাশিস চোট পান এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে, যখন তিনি ভারতের জার্সি গায়ে খেলছিলেন। তাই ফেডারেশনের অব্যবস্থাপনাকেই কাঠগড়ায় তুলেছে তারা। এমনকি ক্ষোভে ফেটে পড়ে ক্লাব কর্তারা জানিয়ে দেন, আপাতত জাতীয় দলের শিবিরে কোনও ফুটবলার ছাড়বেন না।

অন্যদিকে, ফেডারেশনের দাবি একেবারেই আলাদা। তাদের পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুভাশিস কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে নয়, বরং গত এপ্রিলের আইএসএল ফাইনালে খেলতে গিয়েই চোট পান। এআইএফএফ-এর উপসচিব এম সত্যনারায়ণ জানান, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে শুভাশিস ৮৫ মিনিট খেলেছিলেন এবং ট্যাকটিক্যাল কারণে তাঁকে বদলি করা হয়েছিল। পরের দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনালেও তিনি পূর্ণ সময় খেলেন। ফেডারেশনের বক্তব্য, শুভাশিস নিজেই জাতীয় দলের চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন যে আইএসএল ফাইনালেই তাঁর ডান পায়ের কুঁচকিতে চোট লাগে।

ফেডারেশন আরও অভিযোগ করেছে, মোহনবাগান এই চোটের বিষয়ে কোনও তথ্য তাদের জানায়নি। এক মাস বিশ্রামে থাকার পর শুভাশিস আবার শিবিরে যোগ দেন, তবে মাঝের সময়ে তাঁর কোনও মেডিক্যাল টেস্ট বা রিহ্যাব হয়নি। এআইএফএফ দাবি করে, জাতীয় দলের ডাক্তার ও সাপোর্ট স্টাফরা পরবর্তী সময়ে তাঁর চিকিৎসা ও রিহ্যাবের দায়িত্ব নেন। অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে বিশ্রামে পাঠানো হয় এবং শেষমেশ ৫ জুন তাঁকে শিবির থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, মোহনবাগানের এক শীর্ষ কর্তা অভিযোগ করেন, জাতীয় দলে খেলতে গেলেই ফুটবলাররা চোট নিয়ে ফিরছেন। ফেডারেশনের তরফ থেকে তাদের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা দেখা যায় না। তাঁর কথায়, “শুভাশিসের অবস্থাই সব কিছু পরিষ্কার করছে। এখনও সে মাঠে নামতে পারেনি। আমরা বেতন দিচ্ছি, কিন্তু ফেডারেশনের কেউ একটা খোঁজও নেয়নি। ফিফা উইন্ডো না থাকলে আমরা বাধ্য নই ফুটবলার ছাড়তে।”

বর্তমানে শুভাশিস এখনও রিহ্যাব প্রক্রিয়ায় রয়েছেন এবং পুরো মৌসুমে একটিও ম্যাচ খেলতে পারেননি। ফলে, ক্লাব ও ফেডারেশনের এই দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মূলত ফুটবলারই।

ভারতীয় ফুটবলে ক্লাব ও ফেডারেশনের সম্পর্ক যে আগেও মসৃণ ছিল না, তা নতুন কিছু নয়। কিন্তু শুভাশিসের ঘটনাটি যেন সেই পুরনো ক্ষতকে আরও গভীর করল। একদিকে জাতীয় দলের স্বার্থ, অন্যদিকে ক্লাবের দায়—এই টানাপোড়েনে বারবার পড়ছেন ফুটবলাররা। এবারও ব্যতিক্রম হল না।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি জ়েলেনস্কি, তবে আগাম শর্তে নয়

Read more

Local News