বাচ্চার পছন্দের বার্গার ও পিৎজ়া!
আজকের দিনে খুদেদের পছন্দের তালিকায় বার্গার ও পিৎজ়া একেবারে উপরের দিকে। স্কুল থেকে ফেরার পর বা সপ্তাহান্তে ছোটদের চাহিদা থাকে ঠিক এই ফাস্টফুডগুলির দিকেই। কিন্তু সমস্যা হল—এই খাবারগুলিতে প্রোটিন ও পুষ্টিগুণের অভাব, বরং চিনি, ফ্যাট আর অতিরিক্ত ক্যালোরিই বেশি থাকে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তবে চিন্তার কিছু নেই, সামান্য কৌশল অবলম্বন করলেই বার্গার ও পিৎজ়াকে করে তোলা যায় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
স্বাস্থ্যকর ব্রেড বেছে নিন
বার্গারের সবচেয়ে বড় সমস্যা এর ব্রেড। সাধারণত ময়দা দিয়ে বানানো ব্রেড ব্যবহার করা হয়, যা পুষ্টিগুণহীন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে তোলে। এর বদলে বাজারে পাওয়া যায় হোল হুইট বা মাল্টিগ্রেন ব্রেড, যেগুলি ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং হজমে সহজ। এমনকি চাইলে বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর আটা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ব্রেড।
প্রোটিনে ভরপুর প্যাটি
বাজারি প্যাটিতে থাকে প্রচুর তেল, সংরক্ষক ও প্রক্রিয়াজাত উপাদান। এর বদলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন প্রোটিন সমৃদ্ধ প্যাটি।
- চিকেন প্যাটি: হাড় ছাড়া মুরগির মাংস মশলা মেখে ওটিজি বা ননস্টিক প্যানে সামান্য তেলে রান্না করলেই হয়ে যাবে।
- পনির প্যাটি: পনির, টক দই আর মশলা মেখে গ্রিল করে নিতে পারেন।
- কাবলি ছোলার প্যাটি: সেদ্ধ করা ছোলা মশলা দিয়ে মিশিয়ে প্যাটির আকারে ভেজে বা গ্রিল করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে প্রোটিনের সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজও যোগ হবে।
সব্জি লুকিয়ে দিন বার্গারের ভিতরে
খুদেকে সব্জি খাওয়ানো বেশ কঠিন কাজ। তবে বার্গারের মধ্যে সহজেই ঢুকিয়ে দিতে পারেন পুষ্টিকর সব্জি। লেটুস, বাঁধাকপি, টম্যাটো, শসা কিংবা হালকা ভাপানো গাজর পাতলা করে কেটে বার্গারের স্তরে ভরে দিন। শিশুর অজান্তেই ওর শরীরে পৌঁছে যাবে প্রয়োজনীয় ফাইবার ও ভিটামিন।
স্বাস্থ্যকর সস
চিজ় ও মেয়োনিজ়ের সস খেতে যেমন মজাদার, তেমনই তা ফ্যাটে ভরপুর। এর বদলে টক দই দিয়ে বানাতে পারেন হালকা সস। টক দই ঝরিয়ে তাতে অল্প অলিভ অয়েল, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে নিলেই তৈরি। চাইলে ব্যবহার করতে পারেন হামাস—যা কাবলি ছোলা, তাহিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল দিয়ে বানানো এক সুস্বাদু স্বাস্থ্যকর ডিপ।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের বিকল্প
বার্গারের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই চাই-ই চাই। তবে ছাঁকা তেলে ভাজার বদলে ব্যবহার করতে পারেন এয়ার ফ্রায়ার। লাল আলু বা রাঙা আলু পাতলা করে কেটে অল্প তেলে এয়ার ফ্রায়ারে বানিয়ে নিন ফ্রাই। চাইলে গাজর, ঝিঙে বা বেগুনের পাতলা স্লাইস করেও বানাতে পারেন চিপ্স।
শেষকথা
খুদেকে তার পছন্দের খাবার খাওয়ানোয় দোষ নেই, তবে তার সঙ্গে স্বাস্থ্যের দিকটাও দেখা জরুরি। হালকা পরিবর্তন আর সঠিক উপাদান বেছে নিলে বার্গার বা পিৎজ়াও হয়ে উঠতে পারে ভিটামিন, প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য। ফলে একদিকে যেমন বাচ্চার মন ভরবে, অন্যদিকে অভিভাবকরাও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে সে পাচ্ছে সঠিক পুষ্টি।
মুম্বই বিমানবন্দরে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ইন্ডিগো বিমানের যাত্রীরা

