৬০-এর কোঠায় পৌঁছেও ফিট শাহরুখ!
আর কয়েক মাসের মধ্যেই ৬০ বছরে পা রাখবেন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। কিন্তু তাঁকে দেখলে মনে হয় বয়স যেন তাঁর কাছে থমকে গেছে। বড় পর্দায় যেমন, তেমনি বাস্তব জীবনেও তাঁর চেহারায় ঝলসে ওঠে তারুণ্যের আভা। এই বয়সেও এমন সুঠাম, মেদহীন শরীরের রহস্য জানতে আগ্রহী ভক্তরা। এর পেছনে রয়েছে তাঁর নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন।
শাহরুখ খান সারাক্ষণ কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে ভালোবাসেন। এর পাশাপাশি বই পড়াও তাঁর নিত্যসঙ্গী। কাজের ব্যস্ততায় ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘুমোতে যান তিনি, আর সকাল ৯টার মধ্যেই উঠে পড়েন। এত কম ঘুমের পরও কীভাবে তিনি ফিট থাকেন—এ নিয়েই কৌতূহল সবার।
পুরনো এক সাক্ষাৎকারে নিজের খাদ্যাভ্যাসের কথা খুলে বলেছিলেন শাহরুখ। তিনি জানান, গ্রিলড চিকেন তাঁর অন্যতম প্রিয় খাবার। একেবারে নিরেট মাংসের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ খেতে ভালোবাসেন তিনি। আর আলাদা করে ‘ফিট থাকার ডায়েট’ বলতে কিছু নেই বলেই দাবি বাদশার। বরং তিনি মেপে খাবার খান এবং কিছু খাবার থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকেন।
শাহরুখ সাদা রুটি, সাদা ভাত এবং মিষ্টি একেবারেই খান না। তাঁর ভরসা বাড়ির তৈরি খাবারেই। শুটিংয়ের সময়ও নিজের বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যান তিনি। মাছ ও মুরগির মাংসের প্রতি তাঁর বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। প্রতিদিনের খাবারে থাকে অঙ্কুরিত ছোলা, যা প্রোটিনের অন্যতম উৎস।
তবে শুধুমাত্র ডায়েট নিয়ন্ত্রণই নয়, মাঝে মাঝে নিজের পছন্দের খাবারও উপভোগ করেন শাহরুখ। তাঁর ভাষায়, “তন্দুরি চিকেনের সঙ্গে তন্দুরি রুটি আমার ভীষণ প্রিয়। তন্দুরি চিকেনের নেশা আছে আমার। বছরে ৩৬৫ দিনও আমি এটা খেয়ে থাকতে পারি।” মুরগির মাংসের পাশাপাশি মাঝে মধ্যে পাঁঠার মাংসও খান তিনি।
শাহরুখের এই খাদ্যাভ্যাসে একদিকে যেমন আছে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের আধিক্য, অন্যদিকে রয়েছে অপ্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট ও চিনি থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা। নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিকভাবে সক্রিয় থাকার অভ্যাসও তাঁর তারুণ্য ধরে রাখার অন্যতম রহস্য।
ফলস্বরূপ, ৬০-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও শাহরুখ খান এখনও অনায়াসে মুগ্ধ করেন কোটি ভক্তকে—শুধু অভিনয়ে নয়, জীবনযাপনের শৃঙ্খলায়ও। তাঁর জীবনযাপন প্রমাণ করে যে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শৃঙ্খলা এবং পরিমিত আনন্দই হলো দীর্ঘদিন সুস্থ ও তারুণ্যময় থাকার চাবিকাঠি।
শুল্কযুদ্ধের মাঝেই আমেরিকা সফরে মোদী? ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

