খলনায়কে নতুন অঙ্কুশ!
গত পনেরো বছরের অভিনয় জীবনে অঙ্কুশ হাজরা নিজেকে বারবার নতুন করে গড়ে তুলেছেন। এবার পুজোয় তিনি নায়ক নন, খলনায়ক— মুনির আলম। এক সময় যাঁকে অনেকে দেবের উত্তরসূরী বলতেন, সেই অঙ্কুশ আজ নিজের অভিনয় যাত্রার এক ভিন্ন অধ্যায়ে দাঁড়িয়ে।
অঙ্কুশ জানান, তিনি কোনও দিনই চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ‘স্টার’ ইমেজের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। বরং তাঁর লক্ষ্য ছিল দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠা। তাই ‘জুলফিকার’ বা ‘উত্তরণ’-এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন, যদিও সব কাজই প্রশংসা পায়নি। ২০১৯ পর্যন্ত বাণিজ্যিক মশলাদার ছবিতে অভিনয় করে তিনি সাফল্য পেলেও, ২০২০-র পর থেকে কেরিয়ারে অবনতি লক্ষ্য করেন। কত ছবি চলেনি, তাঁকে ‘ফ্লপ’ হিরো বলা হয়েছে— এসব সমালোচনার মাঝেও নিজের অভিনয়ের মান ধরে রাখাই ছিল তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য। সেই সময়ে ‘মুনির আলম’-এর চরিত্র তাঁর কাছে যেন আশীর্বাদের মতো এল।
খলনায়ক চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছা তাঁর বহু দিনের। শাহরুখ খানের ‘আনজ়াম’ ও ‘বাজিগর’, হৃত্বিক রোশন এবং আমির খানের ধূসর চরিত্র থেকে তিনি অনুপ্রেরণা নিয়েছেন। অবশেষে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে ‘মুনির’ হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়ে তিনি তৃপ্ত।
দুই নায়িকার রেষারেষির মতো নায়কদের মধ্যে কি প্রতিযোগিতা থাকে? এই প্রশ্নে অঙ্কুশের উত্তর সোজা— সবটাই নির্ভর করে ব্যক্তিত্বের উপর। এই ছবিতে তিনি ও আবীর চট্টোপাধ্যায় একসঙ্গে কাজ করেছেন, এমনকি প্রোডাকশনের সুবিধার্থে একই ভ্যানিটি ভ্যানও ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের চাহিদা খুব কম। আমরা মাটিতে বসে ভাতও খেতে পারি। তুলোয় মুড়িয়ে রাখা বা সব সময় নজর দেওয়ার মতো কোনও অভ্যাস নেই আমাদের।”
অঙ্কুশের মতে, এই পেশায় সাফল্য-ব্যর্থতা আসবেই, কিন্তু নিজের প্রতি সততা ও দর্শকের বিশ্বাস বজায় রাখাই আসল। খলনায়ক হয়েও সেই বিশ্বাস জিততে পারাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় সাফল্য।
শুল্কযুদ্ধের মাঝেই আমেরিকা সফরে মোদী? ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

