Monday, December 1, 2025

“যে কোনও দিন অভিনয় ছেড়ে দিতে পারি”— খোলামেলা স্বীকারোক্তি ঋতাভরী চক্রবর্তীর

Share

খোলামেলা স্বীকারোক্তি ঋতাভরী চক্রবর্তীর!

এক সময়ে ছোট পর্দার হাসিখুশি মেয়েটি। স্কুল ইউনিফর্ম পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো, সেটেই অভ্যস্ত হয়ে ওঠা। আর এখন? একই মানুষ, কিন্তু অনেক পরিণত, অনেক বেশি আত্মসচেতন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছেন তিনি— বদলেছে তাঁর চিন্তা, অনুভব আর জীবনের দর্শন। বলছি অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর কথা। যিনি সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি “যে কোনও দিন অভিনয় ছেড়ে দিতে পারেন”!

অতীত revisited

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অতীতের পাতা উল্টেছেন ঋতাভরী। কিশোরী বয়সে পা রাখা টেলিভিশনের দুনিয়ায়, সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর যাত্রা। ছোট থেকেই সাফল্য তাঁর সঙ্গী। তাই একরকম থেমে ফিরে তাকানোর সময় পাননি কখনও।

তবে এখন সেই ছোট্ট মেয়েটি অনেক পরিণত। বলছেন,
“ছোটবেলার আমি যা যা চেয়েছিলাম, জীবনে তার চেয়েও অনেক বেশি পেয়েছি। কিন্তু এখন সময় এসেছে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার। নিজেকে প্রশ্ন করার।”

এই আত্মজিজ্ঞাসার কারণ কি কোনও ব্যক্তিগত যন্ত্রণা? ব্যথা? জীবনে কী এমন ঘটেছে, যার জেরে এই চিন্তায় আসা?

“পেশায় যত না কষ্ট পেয়েছি, তার চেয়েও বেশি কেঁদেছি ব্যক্তিগত জীবনে”

ঋতাভরী অকপট। তাঁর কথায়,
“এই পেশায় আমি অনেক কষ্ট সহ্য করেছি ঠিকই, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের যন্ত্রণা ছিল আরও গভীর।’’

এক সময় প্রেম নিয়ে চর্চায় এসেছেন, কখনও শরীর নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। নানা পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছেন হয়তো, কিন্তু মচকাননি। প্রতি বার নিজেকে জোড়া দিয়ে, আরও দৃঢ় মনে সামনে এগিয়েছেন।

তাঁর ভাষায়,
“অনেকেই ভাবছে আমি হয়তো বিয়ে করতে চলেছি, তাই অতীত ফিরে দেখছি। কিন্তু তা নয়। আসলে এই মুহূর্তে আমি এক কাজ করছি, যেখানে আমার প্রথম ধারাবাহিকের সহ-অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের সঙ্গে আবার কাজ করছি। সেই পুরনো দিনের আবহ, পুরনো মুখ— সব মিলিয়ে অনেক স্মৃতি ফিরে আসছে।”

অন্যরকম জীবনবোধ

এক সময়ে মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে ঋতাভরীর চোখে ছিল সরল দৃষ্টিভঙ্গি। মানবিকতা ছিল জীবনের মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু সময় এবং বাস্তবতা তাঁকে শিখিয়েছে, এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে মানবিকতা নেই বললেই চলে।

“জীবনের সেই সরল চোখ হারিয়ে এখন আমি অনেক বেশি বাস্তববাদী। এখন বুঝি কীভাবে নিজের প্রয়োজন বুঝে এগোতে হয়, কোন লড়াই একা লড়তে হয়,”— জানান তিনি।

ভবিষ্যৎ?

এই মুহূর্তে তিনি পরিচালকের আসনে বসেননি ঠিকই, কিন্তু পরিচালনার চিন্তা যে রয়েছে, তা ইঙ্গিত দিয়েছেন আগেই। অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেছেন,
“হয়তো এক দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ভাবলাম, আজ থেকে আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়াব না। তখন হয়তো নতুন কিছু করব। হয়তো লেখালিখি, হয়তো পরিচালনা। কে জানে!”


অভিনয় জগতে ঋতাভরীর পদচারণা অনেকটা সময় ধরে চললেও, তাঁর জীবনটা বরাবরই নিজের নিয়মে বাঁচার গল্প। আর সেই গল্পে হয়তো পরের অধ্যায় শুরু হতে চলেছে একেবারে নতুনভাবে— হয়তো ক্যামেরার পিছনে, বা হয়তো অন্য কোনও মঞ্চে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন অভ্যাস শুরু করেছেন সোহা আলি খান, শরীর ভালো রাখতে খালি পেটে কী খান তিনি?

Read more

Local News