ব্লিচ করলে মুখে জ্বালা?
ত্বকের যত্নের জন্য ‘ব্লিচ’ এখনও অনেকের রুটিনে আছে। যদিও আধুনিক স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে এর জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে, তবুও অনেকেই এখনও বিশ্বাস রাখেন এই পদ্ধতিতে। কারণ ব্লিচ করলে মুখ আরও উজ্জ্বল দেখায়, এবং লোমের রঙ হালকা হয়ে যায় বলে তা অনেক সময় ত্বককে মসৃণ ও পরিষ্কার দেখাতে সাহায্য করে।
তবে সমস্যা একটাই—ব্লিচ করার পর অনেকেই মুখে জ্বালা, চুলকানি বা অস্বস্তি অনুভব করেন। কারও কারও ক্ষেত্রে তা বেশ যন্ত্রণাদায়কও হয়ে ওঠে। আর সেই সমস্যার সহজ ও কার্যকর সমাধান নিয়ে এসেছেন বিখ্যাত কেশসজ্জা শিল্পী জাভেদ হাবিব।
কেন হয় এই জ্বালা?
ব্লিচে থাকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মতো শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান, যা লোমের রঙ ফ্যাকাসে করে দেয়। তবে এই রাসায়নিক অনেক সময় সংবেদনশীল ত্বকে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে মুখে জ্বালা, র্যাশ, এমনকি লালচে ভাবও দেখা যেতে পারে।
সহজ দু’টি ঘরোয়া সমাধান
জ্বালাভাব কমানোর জন্য হাবিবের মতে দু’টি খুবই সহজ পদ্ধতি মেনে চললে মিলতে পারে দ্রুত আরাম।
১. বরফ ঘষা
ব্লিচ করার পরে মুখে বরফের টুকরো ঘষে নিলে ত্বক ঠান্ডা হয়ে যায় এবং জ্বালাভাব দ্রুত কমে আসে। বরফের ঠান্ডা ভাব রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে, ফলে ত্বকে জ্বালা বা ফোলা ভাব কমে। এটি শুধু আরামই দেয় না, বরং ত্বকের পোরগুলোও টোন করে।
টিপস: একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে বরফ জড়িয়ে নিন, সরাসরি বরফ মুখে না ঘষাই ভালো।
২. ঠান্ডা দুধ মাখা
দুধ বহুদিন ধরেই প্রাকৃতিক স্কিনকেয়ার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠান্ডা দুধে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ত্বককে শান্ত করে, জ্বালা কমায় এবং ত্বককে ময়েশ্চারও দেয়। হাবিবের মতে, ব্লিচ করার পর মুখে ঠান্ডা দুধ মাখলে জ্বালাভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
টিপস: তুলো ভিজিয়ে ঠান্ডা দুধ মুখে আলতো করে লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।
দুধ ও বরফ—কে কোন ত্বকের জন্য?
- যাদের সংবেদনশীল ত্বক, তাদের জন্য ঠান্ডা দুধ বেশি উপযোগী, কারণ এটি কোমলভাবে কাজ করে।
- যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তারা বরফ ব্যবহার করলে বাড়তি উপকার পেতে পারেন, কারণ এটি ত্বকের তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
সতর্কতা
- ব্লিচ করার আগে ত্বকে একটি প্যাচ টেস্ট করে নিন।
- মুখে যদি আগে থেকেই র্যাশ, অ্যাকনে বা কাটাছেঁড়া থাকে, তাহলে ব্লিচ না করাই ভালো।
- সব সময় পরিচ্ছন্ন হাতে ও উপকরণে ব্লিচ করুন।
উপসংহার
ব্লিচের পর ত্বকে জ্বালা হলে ভয়ের কিছু নেই। জাভেদ হাবিবের মতে, বরফ ও ঠান্ডা দুধ—এই দুই সহজ পদ্ধতিতেই মেলে স্বস্তি ও আরাম। তাই পরের বার যদি ব্লিচ করার পর অস্বস্তি লাগে, ঘরেই পেয়ে যাবেন সহজ সমাধান।
মায়ের কঠোর আদেশ থেকে শুরু করে ছোট ছোট টাস্ক, কন্যা পলককে বড় করতে যা করেছেন শ্বেতা তিওয়ারি

