ইলন মাস্ক এখন ‘ভাল মানুষ, খারাপ সময়ে’!
এক সময় তাঁরা ছিলেন ঘনিষ্ঠ, রাজনীতির মঞ্চে একসঙ্গে দেখা যেত প্রায়ই। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন আর আগের মতো নেই ইলন মাস্ক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক। বরং একে অপরকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করতেও পিছপা হননি তাঁরা। তবে সম্প্রতি ট্রাম্পের মন্তব্যে তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা— পুরনো সম্পর্ক কি ফের জোড়া লাগতে চলেছে?
সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে মাস্ক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি ওকে খারাপ মানুষ বলব না। আমার বিশ্বাস, ও ভাল মানুষ। কিন্তু এখন ওর সময়টা খারাপ যাচ্ছে।” এই কথার পর থেকেই শুরু হয়েছে চর্চা— তাহলে কি বরফ গলছে?
জনপ্রিয়তা কমেছে মাস্কের
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এসেছে ‘গ্যালপ’-এর একটি সমীক্ষা প্রকাশের পর। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারির তুলনায় জুলাইয়ে আমেরিকায় মাস্কের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমেছে। ৭ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত করা সমীক্ষায় দেখা যায়, ৬১ শতাংশ মানুষ মাস্কের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মত প্রকাশ করেছেন। মাত্র ৩৩ শতাংশ মানুষ এখনও মাস্ককে পছন্দ করেন। বাকি ছয় শতাংশ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এই ফলাফল নিয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি যদিও সরাসরি সমীক্ষার সত্যতা মানেননি, তবে মাস্কের চরিত্র নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, এটা হয়তো একটি নতুন রাজনৈতিক কৌশল— পুরনো বিরোধ ভুলে মাস্ককে আবার পাশে পাওয়ার চেষ্টার সূচনা।
অতীতের ঘনিষ্ঠতা
মাস্ক ও ট্রাম্পের সম্পর্ক নতুন নয়। ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় থেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিলেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার পর তাঁকে ‘বিশেষ পরামর্শদাতা’ পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বেই গঠন হয়েছিল একটি সরকারি দফতর— ডিওজিই, যার কাজ ছিল অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো।
দু’জনের সম্পর্ক এতটাই মসৃণ ছিল যে, প্রশাসনের নানা সিদ্ধান্তে মাস্কের পরামর্শ নেওয়া হতো। তবে সবকিছু বদলে যায় একটি বিতর্কিত বিলের সূত্র ধরে। ট্রাম্প যেটিকে বলেছিলেন ‘বড় ও সুন্দর বিল’, সেটিকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন মাস্ক। পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি। শেষমেশ ডিওজিই থেকে ইস্তফা দেন মাস্ক এবং তৈরি করেন নিজস্ব রাজনৈতিক দল— ‘আমেরিকা পার্টি’।
এখনও গুরুত্বহীন ‘আমেরিকা পার্টি’?
নিজের দল গড়লেও মাস্কের রাজনৈতিক শক্তি নিয়ে এখনই মাথাব্যথা নেই ট্রাম্পের। আগেই এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছিলেন, মাস্কের দলকে গুরুত্ব দেওয়ার মতো কিছু নেই। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া মাস্ক আবার হয়তো আগের ঘনিষ্ঠতা ফেরাতে চাইবেন। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যও সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দোকানের মশলার বদলে ঘরেই বানিয়ে নিন মাংসের স্বাদ বাড়ানোর জাদুমন্ত্র

