পটনা হাসপাতালে গুলিকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে তৈরি হয়েছিল আস্ত অস্ত্র কারখানা!
পটনার হাসপাতালের আইসিইউ-তে চন্দন মিশ্রকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করার ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় বিহারজুড়ে। কিন্তু এই ঘটনার পিছনে প্রতিশোধ নিতে যে ভয়ানক প্রস্তুতি চলছিল, তা সামনে আসতেই স্তম্ভিত পুলিশ প্রশাসন।
বিহার পুলিশের দাবি, চন্দনের খুনের বদলা নিতে বক্সার জেলায় গড়ে তোলা হয়েছিল একটি গোপন অস্ত্র তৈরির কারখানা। শুধু তাই নয়, মুঙ্গেরের মতো অস্ত্র তৈরিতে berিয়ত প্রসিদ্ধ এলাকা থেকে আনা হয়েছিল প্রশিক্ষিত কারিগর, যারা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে হাতে-কলমে দেশি বন্দুক তৈরি করছিলেন।
কীভাবে ফাঁস হল এই ষড়যন্ত্র?
বক্সারের পুলিশ সুপার শুভম আর্য জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ডালসাগর গ্রামে দীনেশ যাদব নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে ঢুকে তারা দেখতে পায়, বাড়ির একটি অংশে বসানো রয়েছে লেদ মেশিন, কাটার, কার্তুজ তৈরির সামগ্রীসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র নির্মাণের যন্ত্রপাতি।
এই অভিযানে মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু দেশি বন্দুক, হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটি ম্যাগাজিন, গুলি, ছয়টি মোবাইল ফোন এবং চারটি মোটরসাইকেল।
কারা জড়িত ছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দীনেশ যাদব, যিনি এই কারখানার মূল হোতা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, এবং রাজেশ কুমার ও সুনীল পোদ্দার—এই দু’জনকে মুঙ্গেরের কাশিমবাজার থেকে অস্ত্র তৈরির জন্য বিশেষভাবে আনা হয়েছিল। বাকিরা—সন্দীপ যাদব, অনুপ পাসোয়ান, দুর্গেশ উপাধ্যায় ও দয়ানন্দ যাদব—বক্সারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে জড়ো করা হয়েছিল। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অতীতে খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রোটিন খেয়ে মেদ ঝরাতে গিয়ে বেড়ে যেতে পারে ওজন, কোন ভুলে এমন হতে পারে?

