Monday, December 1, 2025

ভোটার তালিকায় অনিয়মে চাঞ্চল্য, দুই বিধানসভা কেন্দ্রে চার আধিকারিক সাসপেন্ড, এফআইআরের নির্দেশ কমিশনের

Share

ভোটার তালিকায় অনিয়মে চাঞ্চল্য!

ভোটার তালিকা তৈরিতে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত হলেন চার নির্বাচনী আধিকারিক। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শুধু সাসপেন্ড করাই নয়, এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের করতে হবে এফআইআরও। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট চারজন—দুই ইআরও (নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক) এবং দুই এইআরও (সহকারী নিবন্ধন আধিকারিক)—নির্বাচনী নিয়মবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ভোটার তালিকায় বেআইনি ও বেঠিক অন্তর্ভুক্তি, গোপন তথ্যের অপব্যবহার, এমনকি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

বারুইপুর পূর্বে দায়িত্বে ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী (ইআরও) ও তথাগত মণ্ডল (এইআরও)। ময়না কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন বিপ্লব সরকার (ইআরও) ও সুদীপ্ত দাস (এইআরও)। কমিশনের অভিযোগ, এঁরা দায়িত্বে গাফিলতি করেছেন, ভোটার তালিকায় যথাযথ যাচাই না করেই নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন, এমনকি গোপন সরকারি নেটওয়ার্ক (ইআরও-নেট)-এর তথ্যও রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বলা হয়েছে, লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড অনধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়ার মতো গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটেছে।

এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারের বিরুদ্ধেও এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত যে কোনও আধিকারিক কমিশনের অধীনস্থ বলে বিবেচিত হন। সে কারণে দায়িত্ব পালনে গাফিলতি হলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার কমিশনের রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ধরনের অপরাধ প্রমাণিত হলে তিন মাস থেকে শুরু করে দু’বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

কমিশন আরও জানিয়েছে, এই অনিয়ম শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং তা গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর উপর আঘাত। তাই দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এর ফলে শুধু সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের শাস্তি নয়, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন দায়িত্বহীন আচরণ না করেন, তা নিশ্চিত করতেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত।

চিঠির শেষে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং প্রয়োগের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট কমিশনে পাঠাতে হবে।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে কমিশনের এমন কঠোর পদক্ষেপ নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলেও। বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাকে অনেকেই দেখছেন সতর্কবার্তা হিসেবে।

প্রোটিন খেয়ে মেদ ঝরাতে গিয়ে বেড়ে যেতে পারে ওজন, কোন ভুলে এমন হতে পারে?

Read more

Local News