Monday, December 1, 2025

ভোটার তালিকার খুঁটিনাটি যাচাইয়ে প্রস্তুত হোন: এসআইআরের জন্য রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতির নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

Share

ভোটার তালিকার খুঁটিনাটি যাচাইয়ে প্রস্তুত হোন!

দেশজুড়ে ভোটার তালিকার বিশদ পর্যালোচনার কাজ শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বিহারে এই বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (Special Intensive Revision বা এসআইআর) সম্পন্ন হয়েছে। এবার পালা পশ্চিমবঙ্গ-সহ বাকি সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের। সেই উপলক্ষে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (সিইও) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন, যেখানে পুরো প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসআইআরের মূল দায়িত্বে থাকবেন বুথ লেভেল অফিসার (BLO) এবং তাঁদের সুপারভাইজ়াররা। প্রতিটি বুথে একজন করে BLO থাকবেন। যদি কোনও বুথে ভোটারের সংখ্যা ১২০০-এর বেশি হয়, সেখানে অতিরিক্ত BLO নিয়োগ করতে হবে। এক একজন BLO সুপারভাইজ়ার সর্বোচ্চ ১০টি বুথের দায়িত্বে থাকবেন। এই BLO এবং সুপারভাইজ়ারদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের নির্বাচন দফতরকে।

এই পুরো প্রক্রিয়ায় আর এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA)-রা। তাঁরা BLO-দের সঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করবেন, এলাকা ঘুরে তথ্য যাচাই করবেন। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে নিজ নিজ BLA মনোনয়ন দিতে হবে। যদি কোনও রাজনৈতিক দল BLA না দেয়, তাহলে নতুন করে নিয়োগ করতে হবে।

সব ধরনের BLO, সুপারভাইজ়ার ও BLA নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সিইও দফতরকে দ্রুত জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, ইলেকশন রিটার্নিং অফিসার (ERO)-দের কোনও পদ খালি থাকলে, সেগুলিও দ্রুত পূরণ করতে হবে।

কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও সময় এসআইআরের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। তবে সুপ্রিম কোর্টে বিহারের এসআইআর সংক্রান্ত একটি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১২ অগস্ট। সেই শুনানির পর বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা থাকছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার ভোটার তালিকার এই ধরনের নিবিড় সমীক্ষা হয়েছিল ২০০২ সালে। সেই পুরনো তালিকাকেই এবার ভিত্তি করে আপডেট করা হবে নতুন তথ্য। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফ থেকে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু হয়ে গেছে, এবং ১১টি জেলার একাধিক বিধানসভা এলাকার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করার দিকেই এগিয়ে চলেছে। যেকোনও ভবিষ্যৎ নির্বাচনের আগে এ ধরনের সমীক্ষা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। সঠিক তথ্য, যথাযথ সমন্বয় এবং দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমেই এই কাজ সফল হবে—এমনটাই আশা করছে কমিশন।

সুনামির আতঙ্কে থমকে নেই লিভারপুলের জাপান সফর, মারিয়ানোসের বিরুদ্ধে জয়ের আনন্দ

Read more

Local News