প্রকাশ্যে চপ্পল ছোড়া থেকে ১০ কোটি টাকার মামলা!
সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে মডেল-অভিনেত্রী রুচি গুজ্জরের নাম। ছবির বিশেষ প্রদর্শনের দিনে ‘সো লং ভ্যালি’ সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক মান লাল সিংহের ওপর চপ্পল ছোড়া, জলের বোতল ছোড়ার ঘটনায় রুচিকে ঘিরে উত্তাপ তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনার জন্য রুচির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২৫ জুলাই, যখন ‘সো লং ভ্যালি’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। জানা গেছে, আমন্ত্রণপত্র ছাড়াই রুচি কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে জোর করে প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করেন। এরপরই তিনি মান লাল সিংহের ওপর জলের বোতল ছুড়ে এবং পরবর্তীতে চপ্পলও ছুড়ে ফেলেন। এ ছাড়াও রুচির অনুসারীরা স্লোগান দিয়ে প্রযোজককে অপমান করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রযোজক-পরিচালকের অভিযোগ, রুচি এই আচরণে শুধু অপমান করেননি, বরং বিশেষ প্রদর্শনী নষ্ট করার উদ্দেশ্যে নাশকতা করারও চেষ্টা করেছেন। সেই কারণে মামলা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রযোজকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রুচি গুজ্জর ‘সো লং ভ্যালি’র সহ-প্রযোজক করণ চৌহানের কাছে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে টাকা ফেরত না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রুচি ছবির অন্যান্য অভিনেতাদের ছবিটি থেকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। এরপরও ছবি নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় তিনি মুক্তি বন্ধের জন্য আদালতে যান। কিন্তু আদালত রুচির আবেদন খারিজ করে দেয়। কারণ, রুচি ছবির সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যুক্ত নন; ঋণটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত হিসেবে করণ চৌহানকে দিয়েছিলেন।
মান লাল সিংহ নিজেও বলেন, তিনি রুচির কাছ থেকে কোনো টাকা ধার নেননি এবং ছবির স্বার্থে বা ব্যক্তিগতভাবে রুচির সঙ্গে আর্থিক কোনো লেনদেন নেই। সমস্যার উত্তেজনা কমাতে তিনি করণ চৌহানকে ছবির সহ-প্রযোজনার দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেন।
অন্যদিকে, রুচি গুজ্জর অভিযোগ করেন, করণ চৌহান গত বছর তাকে একটি হিন্দি ধারাবাহিক প্রযোজনার কথা বলেছিলেন এবং তিনি সেই ধারাবাহিকে সহ-প্রযোজক হবেন বলে অফিসিয়াল কাগজপত্রও দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকের জন্য তিনি অর্থ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন, করণ সেই টাকা ‘সো লং ভ্যালি’ ছবির জন্য নিয়েছিলেন। টাকা ফেরত না পাওয়ায় রুচি বিরোধ শুরু করেন।
এই মুহূর্তে মামলাটি আইনি প্যাঁচে জড়িয়ে গেছে এবং উভয় পক্ষই অবস্থান শক্ত করেছে। দেখার বিষয়, এই বিতর্কের মোড় কোথায় গড়াবে এবং ‘সো লং ভ্যালি’র মুক্তি কেমন ফলাফল হবে। তবে বলাই বাহুল্য, এই ঘটনা বলিউডের এক কলাকুশলীর সঙ্গে আরেকজনের ঝগড়া থেকে অনেক বড় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
তবে শেষ কথা হলো, প্রকাশ্যে এমন আচরণ ও আইনি জটিলতার মধ্যে পড়া কারো জন্যই ভালো নয়। আশা করা হচ্ছে, পরবর্তীতে বিষয়টি সুসমাধানে পৌঁছাবে এবং শিল্পী ও প্রযোজকদের মধ্যে বিরোধ শেষ হবে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা উচিত ভারতের? সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তিতে কী আছে

