আমার পাড়া, আমার সমাধান!
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন “আমার পাড়া, আমার সমাধান” (Amader Para, Amader Samadhan) নামক একটি নতুন কর্মসূচি– যার উদ্দেশ্য হচ্ছে পাড়াভিত্তিক সাধারণ মানুষের ছোটখাটো সমস্যা দ্রুত সমাধান করা। এর মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র পর্যায়ে জনগণ কী অভিযোগে ভুগছেন, সে সম্পর্কে প্রত্যক্ষ শুনানী ও ব্যবস্থা করা হবে।
🗓️ কার্যক্রম কেমন হবে?
- শুরু: ২ আগস্ট থেকে রাজ্যব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন হবে, যেটি চলবে ৬০ দিন ধরে।
- প্রত্যেক তিনটি বুথ (ভোটকেন্দ্র)-এর জন্য একটি করে ক্যাম্প স্থাপন করা হবে—এমনভাবে যাতে প্রত্যেক অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
- প্রতি বুথে বরাদ্দ: ₹১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হবে, মোট মিলিয়ে প্রায় ₹৮,০০০ কোটি টাকা ব্যয় পরিকল্পনা করা হয়েছে।
🧭 উদ্দেশ্য ও কাঠামো
- জরুরি পরিষেবা: রাস্তা, পানির ট্যাপ, রাস্তাঘাট–ক্ষতিগ্রস্ত গলিঘণ্টি ইত্যাদি পাড়ার সমস্যার দ্রুত সমাধান।
- সোনার সাথী-ক্যাম্প: স্বাস্হ্য সাথী, খাদ্য সাথী, কৃষক বন্ধু, বয়স্ক ভাতা বা শিষ্যবৃত্তি, অগ্নি-সুরক্ষা প্রভৃতি Duare Sarkar তত্ত্বের আওতায় সেবা দেওয়া হবে।
- স্থানীয় প্রতিনিধি: ইলেকটেড বিধায়ক, ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, জেলা প্রশাসক উপস্থিত থেকে মাঠ পর্যায়ে সমস্যা ও সমাধান যাচাই করবেন।
👥 প্রশাসনিক নির্দেশনা
রাজ্য সচিব ম্যানেজ করে ভার্চুয়াল সভায় সাথে সাথে সকল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বিস্তারিত নির্দেশ দেন:
- প্রতি বুথে সমস্যাগ্রস্ত মানুষের কথা শুনুন এবং দ্রুত সমাধানের পরিকল্পনা করুন।
- সরকারি প্রকল্পগুলোর সাথে সংযুক্ত Duare Sarkar ক্যাম্পের সঙ্গে সমন্বয় রেখে একই ক্যাম্পে দুটো কর্মসূচি একসঙ্গে চালান।
- বোঝা উচিত—এখানে নাগরিক হতোদ্যমিতা নয়, একটি ভাগাভাগি রীতি: মানুষ বলে, প্রশাসন শুনে, সরকার করে।
💡 এই উদ্যোগের গুরুত্ব কেন?
- অদক্ষতার দূরীকরণ: কেন্দ্রীয় সরকারের দফতর ও সরকারের অনুদান বন্ধ থাকলেও—এই কর্মসূচি রাজ্যের নাগরিকদের মুখে হাসি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
- স্তরে একযোগিতার চেষ্টা: Duare Sarkar এবং পাড়া সমাধান একসঙ্গে চালিয়ে পরিষেবা দ্রুত পৌঁছে দেবে দূরদুরান্ত অঞ্চলেও।
- স্থানীয় অংশগ্রহণ: প্রকল্পের পরিকল্পনায় স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে—তারা নিজ সমস্যা চিহ্নিত করবে, এবং তার সমাধান নিয়ন্ত্রণ করবে।
🔮 ভবিষ্যৎ কল্পনা এবং প্রতিক্রিয়া
- অনেকেই মনে করছে—এই কর্মসূচি ভোটবাছলির আগে মাঠের মানুষকে আকৃষ্ট করার একটি কৌশল হতে পারে।
- আবার অনেকে আশা করছেন—সুষ্ঠু বাস্তবায়নে এটি আসলেই গ্রামের দুর্গম অঞ্চলের রাস্তাঘাট, পানীয় জল বা বিদ্যুৎ সমস্যায় তাত্ক্ষণিক পরিবর্তন আনতে পারে।
- স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ও অধিকার-সচেতন নাগরিকদের জানতে চাই বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য—এই টাকা কোথায় যাবে, কার ব্যবহার হবে।

