বিহারের ভোটার তালিকা থেকে ব্যাপক নাম বিবর্জন!
নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে, বিহারের মোট ভোটার তালিকার প্রায় ৫২ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে—এগুলির মধ্যে রয়েছে মৃত, স্থায়ীভাবে অন্যত্র চলে যাওয়া ও ‘ডুপ্লিকেট’ হিসেবে চিহ্নিত নাম ।
- মৃত ভোটার: প্রায় ১৮.৬৬ লক্ষ
- অন্য স্থানে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত: ২৬.০১ লক্ষ
- বহুবচন (duplicate) ভোটার: ৭.৫ লক্ষ
- “Untraceable” বা অনুসন্ধানযোগ্য নয় এমন: ১১,৪৮৪ জন (মোট ৬.৬২% ভোটারের মধ্যে) ।
বিহারে মোট নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ছিল ৭.৮৯ কোটি, যার প্রায় ৯৭% ভোটার ইতিমধ্যে যাচাই ও ফর্ম জমা দিয়েছেন ।
বিতর্ক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই SIR প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তীব্র প্রতিবাদ তুলেছে। RJD-Congress সমষ্টিগতভাবে অভিযোগ করে থাকতে বলেছেন যে এটি চালানো হচ্ছে দলিত, দরিদ্র ও অভিবাসী শ্রমিকদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ।
RJD নেতা তেজস্বী যাদব ও অন্য নেতারা বলছেন যে, মাত্র ১% ভোটার (প্রায় ৮ লক্ষ) বাদ পড়লেও অন্তত ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে ফলাফল প্রভাবিত হতে পারে। ২০২০ সালের নির্বাচনে অনেক আসনের জয়পরিকল্পনা মাত্র ৩,০০০ ভোটের ব্যবধান—এমন পরিস্থিতিতে গড় ৩,২০০ ভোটার ছেঁটে দেওয়া হলে কেন্দ্রগুলির ফলাফলই পালটে যেতে পারে ।
মহাগঠবন্ধন আরও দাবী করেছে যে এই প্রক্রিয়ায় দুর্বল এবং অবহেলিত জনগোষ্ঠী—বিশেষত Seemanchal, Kosi, Champaran ও পূর্ব বিহার—সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যেখানে ভোটারদের মধ্যে আধার বা সরকারি নথির অভাব বেশি।
ইসি ও তত্ত্বীয় দিক
নির্বাচন কমিশন এই প্রক্রিয়াটি সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত উল্লেখ করেছে এবং দাবি করেছে যে আধার কার্ড, ভোটার আইডি বা রেশন কার্ডকে চূড়ান্ত পরিচয় পত্র হিসেবে গ্রহণ করা যায় না—কারণ এগুলো নাগরিকত্ব স্বীকার করে না ।
তবে সুপ্রীম কোর্ট ১০ জুলাই শুনানির পর ইসি‑কে নির্দেশ দিয়েছে এগুলোকে বৈধ শনাক্তকারী হিসেবে বিবেচনা করতে ।
ভবিষ্যত ঘটনার সম্ভাবনা
- আগামী ১ আগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, যেখানে ১ মাসের মধ্যে (১ আগস্ট–১ সেপ্টেম্বর) জনসাধারণ প্রতিকার ও সংশোধনের আবেদন জানাতে পারবে ।
- সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ২৮ জুলাই।
রাজনৈতিক প্রভাব ও আলোকপাত
- NDA (BJP–JD(U)) দলের समर्थকরা মনে করেন এটি ভোটের তালিকা শুদ্ধ করার একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, যা তাদের সুবিধায় কাজ করতে পারে; কারণ তাদের ভোটারদের মধ্যে অধিকাংশ স্থায়ী ও দস্তাবেজ সম্পন্ন।
- বিরোধী পক্ষের উদ্বেগ হলো যে এই প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট সমাজ ও সম্প্রদায়ের ভোটার অনুপযুক্তভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়ছে, এবং এটি গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে
এজেসি বসু রোডের উড়ালপুলের নীচে দিনদুপুরে এক লক্ষ টাকা ছিনতাই! আতঙ্কে ব্যবসায়ী মহল

