Monday, December 1, 2025

পরিচয়পত্র ছাড়াই গেস্ট হাউসে থাকার অনুমতি! পটনা বিস্ফোরণকাণ্ডে কলকাতায় উঠছে প্রশ্ন

Share

পটনা বিস্ফোরণকাণ্ডে কলকাতায় উঠছে প্রশ্ন!

পটনা বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্তদের কয়েকজন কলকাতার আনন্দপুর এলাকার একটি গেস্ট হাউসে থেকেছেন—তা-ও আবার সঠিক পরিচয়পত্র ছাড়াই! এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন, আর গোটা কলকাতা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগের সুর।

ঘটনার সূত্রপাত বিহারের পটনায় একটি বিস্ফোরণকে ঘিরে। তদন্তে নেমে এনআইএ (NIA) জানতে পারে, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন বিহার ছেড়ে কলকাতায় এসে উঠেছিলেন। তাঁদের অস্থায়ী ঠিকানা ছিল দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এলাকা আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউস। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, যারা সেখানে ছিলেন, তাঁদের কেউই প্রথাগত পরিচয়পত্র জমা দেননি।

এত বড় শহরে, যেখানে প্রতিটি গেস্ট হাউস বা হোটেলে অতিথিদের পরিচয়পত্র যাচাই করা বাধ্যতামূলক, সেখানে কীভাবে একাধিক ব্যক্তি পরিচয় না দিয়ে এতদিন ধরে থাকতে পারেন? এই প্রশ্নেই মাথাচাড়া দিচ্ছে কলকাতার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তরা নিজেদের পরিচয় গোপন করে ভুয়ো তথ্য দিয়ে ওই গেস্ট হাউসে ঘর ভাড়া নেন। অথচ, কোনও আধার কার্ড, ভোটার আইডি বা সরকার অনুমোদিত আইডি প্রুফ ছাড়াই তাঁদের থাকতে দেওয়া হয়। এনআইএর এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “ওরা এমন কিছু পরিচয়পত্র দেখিয়েছিল, যা যাচাই করলে সঙ্গে সঙ্গেই ভুয়ো বলে প্রমাণিত হত। কিন্তু গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ সেটি না করেই ঘর দিয়ে দেয়।”

এখন প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এমন গাফিলতি ঘটল? গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ কি ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন? নাকি সাধারণ অসাবধানতা? তদন্তে উঠে এসেছে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিযুক্তদের কারও পূর্বপরিচয় ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনার পর এনআইএ ও কলকাতা পুলিশের যুগ্ম অভিযান শুরু হয়েছে। আনন্দপুরের ওই গেস্ট হাউসে হানা দিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গেস্ট হাউসের ম্যানেজার ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। এনআইএ সূত্রের দাবি, গেস্ট হাউসে থাকা অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ কেউ শহরে আরও কোথাও যাতায়াত করত। তাদের গতিবিধি, কার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, এমনকি কোথায় কোথায় গিয়েছিল—সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এনআইএর এই তদন্তের জেরে শুধু কলকাতায় নয়, আশপাশের হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ গেস্ট হাউসগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে। শহরে যে কেউ গেস্ট হাউসে উঠলে এখন কঠোরভাবে চেক করা হচ্ছে পরিচয়পত্র।

শেষ কথা
এই ঘটনা প্রমাণ করে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এখন আর বড় শহরকে এড়িয়ে চলে না। বরং শহরের কোলাহল আর ভিড়ই অনেক সময় অপরাধীদের লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করে। আর তাই এমন গাফিলতি শুধু আইনভঙ্গ নয়, শহরের নিরাপত্তার জন্যও বড় বিপদ। প্রশ্ন হল, এবার কি চাপে পড়ে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন?

খেলাধুলা বিল ঘিরে বড় রদবদলের মুখে বিসিসিআই! পরিবর্তনের হাওয়া ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে

Read more

Local News