পাহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে!
পাহেলগাঁওয়ে অমরনাথযাত্রীদের উপর হামলার ঘটনার অভিঘাত এখনও তীব্র। সেই ঘটনার রেশ গড়াতে চলেছে সংসদ পর্যন্ত। আগামী সপ্তাহেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় মিলিয়ে মোট ১৬ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে এই হামলা এবং তার পরের নিরাপত্তা অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিশদ আলোচনা করার জন্য।
সূত্র অনুযায়ী, লোকসভায় ৯ ঘণ্টা এবং রাজ্যসভায় ৭ ঘণ্টা ধরে এই দুটি ইস্যুতে আলোচনা হবে। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তারা সংসদে পুরো ঘটনা নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চায় এবং সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে প্রস্তুত। বিরোধী শিবিরও ইতিমধ্যে নিজেদের প্রশ্নপত্র তৈরি করে ফেলেছে।
কী হয়েছিল পাহেলগাঁওয়ে?
কয়েক দিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পাহেলগাঁও এলাকায় ভয়াবহ হামলার শিকার হয় একটি অমরনাথযাত্রী বোঝাই বাস। এই হামলায় বহু মানুষের মৃত্যু এবং জখম হওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় দেশজুড়ে। প্রশ্ন ওঠে, এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন হামলা হতে পারে?
এই ঘটনার পরপরই কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন যৌথভাবে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এর মূল লক্ষ্য ছিল জঙ্গিদের খোঁজ করে নির্মূল করা এবং হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অপারেশন সিঁদুরে বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজনকে আটকও করা হয়েছে।
কেন এত দীর্ঘ সময় বরাদ্দ?
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা কেবল দেশের নিরাপত্তা নয়, জনগণের মনোবলের সঙ্গেও গভীরভাবে যুক্ত। তাই বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা প্রয়োজন। প্রত্যেক সাংসদের যাতে নিজেদের বক্তব্য রাখার সুযোগ থাকে, সে জন্যই এই দীর্ঘ সময় বরাদ্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছে, পাহেলগাঁও হামলা আসলে গোয়েন্দা ব্যর্থতার প্রমাণ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাশ্মীর নীতি কতটা কার্যকর, সেটাও এই হামলার প্রেক্ষাপটে নতুন করে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
রাজনৈতিক ও সামরিক দিক
এই বিতর্কের মাধ্যমে একদিকে যেমন সরকারের নিরাপত্তা নীতি খতিয়ে দেখা হবে, অন্যদিকে দেশের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকলাপের স্বচ্ছতাও প্রকাশ পাবে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ কতটা সফল হয়েছে, আদৌ কি সব ষড়যন্ত্রকারীদের ধরা সম্ভব হয়েছে, কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক ছিল কি না—এসব প্রশ্ন উঠবে আলোচনা চলাকালীন।
সংসদ অধিবেশনের দিকেই নজর
এই বিতর্ক ঘিরে দেশজুড়ে আগ্রহ তুঙ্গে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনা আগামী নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। একদিকে সরকার যদি প্রমাণ করতে পারে যে তারা কড়া হাতে জঙ্গিদমন করছে, তবে তা জনমতের পক্ষে যাবে। অন্যদিকে, বিরোধীরা যদি ব্যর্থতা তুলে ধরতে সফল হয়, তবে তা সরকারের পক্ষে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সবমিলিয়ে, পাহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে আগামী সপ্তাহের সংসদ অধিবেশন হতে চলেছে উত্তেজনাপূর্ণ এবং রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খেলাধুলা বিল ঘিরে বড় রদবদলের মুখে বিসিসিআই! পরিবর্তনের হাওয়া ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে

