Monday, December 1, 2025

এসএসসি-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে হস্তক্ষেপ নয়, হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ৯টি কারণ

Share

এসএসসি-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে হস্তক্ষেপ নয়!

স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া ঘিরে চলা মামলা নিয়ে বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট বড় সিদ্ধান্ত জানাল। ২৬ হাজার শিক্ষক পদ বাতিলের পরে ৩০ মে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে করা একাধিক মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আদালত এই বিজ্ঞপ্তিতে কোনও হস্তক্ষেপ করছে না।

কেন এমন রায়? আদালত তার পর্যবেক্ষণে ৯টি যুক্তি তুলে ধরে জানিয়েছে—

১. মামলাকারীরা সবাই অপেক্ষমাণ তালিকায় ছিলেন, কিন্তু নিয়োগপত্র পাননি। তাই নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করার অধিকার তাঁদের নেই।
২. সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ও দাগমুক্তদের বয়সে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীরা এই দুই তালিকায় পড়েন না।
৩. নতুন বিধিতে শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানো বা নতুন নিয়ম প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। ২০২৪ ও ২০২৫ সালের রায়ে এমন কিছু বলা হয়নি।
৪. ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর বাধ্যতামূলক করা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটি আদালতের হস্তক্ষেপযোগ্য নয়, যদি না সেটি অসাংবিধানিক হয়।
৫. যোগ্যতা নির্ধারণ বিশেষজ্ঞ সংস্থার কাজ। ভাল শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার মান বাড়ানোই মূল লক্ষ্য। তাই আদালত এই বিষয়ে নিজস্ব মত চাপাতে পারে না।
৬. অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া যুক্তিযুক্ত। কারণ সরকার চাইলে অভিজ্ঞ শিক্ষকের গুরুত্ব দিতে পারে।
৭. মামলাকারীরা কেউই ২০১৬ সালের নির্বাচিত প্যানেলে ছিলেন না বা কোথাও শিক্ষকতা করছিলেন না। তাই তাঁদের বিশেষ সুবিধা চাওয়ার সুযোগ নেই।
৮. কোনও নীতি কার্যকর কতটা, তা বিচার আদালতের কাজ নয়, যদি না সেটি আইনবিরোধী হয়।
৯. প্যানেলে নাম থাকলেই নিয়োগের অধিকার হয় না। সরকার কাকে নেবে, কত জন নেবে—এটি সম্পূর্ণ সরকারের সিদ্ধান্ত।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জন্য বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। কিন্তু দ্রুত শূন্যপদ পূরণ করা এখন অত্যন্ত জরুরি। না হলে শিক্ষায় আরও জটিলতা বাড়বে।

এ দিন মামলাকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম ও গোপা বিশ্বাস। রাজ্যের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং এসএসসি-র হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

মামলাকারীদের মূল দাবি ছিল, ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ীই নতুন নিয়োগ হতে হবে। নতুন নিয়ম তারা মানতে রাজি নন। তবে আদালত তা মানেনি। রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সময়ের দাবি মেনে নিয়ম বদলানো সরকারের অধিকার। আর যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করাই এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।

এই রায় নিয়ে নিয়োগপ্রত্যাশীদের একাংশ হতাশ হলেও, এসএসসি-র নতুন প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে যাবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজনে ধামাকা ডিসকাউন্টে বাজেট স্মার্টফোনের দারুণ অফার চলেছে—নিচে কিছু হাইলাইট আর শীর্ষ—৪ ফোনের তালিকা দেয়া হলো

Read more

Local News