প্রাক্তন বান্ধবীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনলেন আরসিবি পেসার যশ দয়াল!
আইপিএল জয়ী দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) পেসার যশ দয়াল ও তাঁর প্রাক্তন বান্ধবীর মধ্যে আইনি লড়াই এক নতুন মোড় নিয়েছে। গাজিয়াবাদের এক মহিলার বিরুদ্ধে এবার চুরির অভিযোগ এনে প্রয়াগরাজের পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ২৭ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। যশ দাবি করেছেন, প্রাক্তন বান্ধবী শুধু তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্রই চুরি করেননি, চিকিৎসা ও কেনাকাটার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে তা ফেরতও দেননি।
সম্প্রতি যশ দয়ালের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। ওই মহিলা ইন্দিরাপুরম থানায় এফআইআর দায়ের করেন তাঁর বিরুদ্ধে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেন—বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন যশ। এমনকি ২১ জুন তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আইজিআরএস পোর্টালে অভিযোগ জমা দেন। তার পরেই শুরু হয় পুলিশি তদন্ত এবং আইনি পদক্ষেপ।
এই অভিযোগের ঠিক পরপরই যশও তাঁর দিক থেকে ঘটনার পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, ২০২১ সালে ইনস্টাগ্রামে ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়ে এবং পাঁচ বছর ধরে তাঁদের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কের শেষ দিকে নানা সমস্যা শুরু হয়।
যশের অভিযোগ, মহিলাটি তাঁর কাছ থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ও কেনাকাটার জন্যও একাধিকবার টাকা নিয়েছেন। তবে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই টাকা কখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি ওই মহিলা তাঁর আইফোন এবং ল্যাপটপ চুরি করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন যশ।
ক্রিকেটারের দাবি, এই সমস্ত আর্থিক লেনদেনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। তিনি পুলিশের কাছে দায়ের করা তিন পাতার অভিযোগপত্রে মহিলার পরিবার ও আরও কয়েক জন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির নামও উল্লেখ করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়েছেন।
যশের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপের ফলে দু’পক্ষের মধ্যে আইনি টানাপড়েন আরও গভীর হলো। পুলিশ সূত্রে খবর, যশের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণাদির ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে, গাজিয়াবাদ পুলিশও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে।
এই ঘটনা আরও একবার তুলে ধরল যে, সেলিব্রিটি জীবন কেবল গ্ল্যামার নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও নানা জটিলতা ও দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত নয় তারা। এখন দেখার বিষয়, প্রমাণ ও আইনি প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে এই মামলা কোন দিকে মোড় নেয়, আর কে হয় শেষ পর্যন্ত নির্দোষ প্রমাণিত।
‘পুতিনের কাজে খুশি নই’: ট্রাম্পের ক্ষোভ, রাশিয়ার উপর ফের নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত

