Monday, December 1, 2025

‘পুতিনের কাজে খুশি নই’: ট্রাম্পের ক্ষোভ, রাশিয়ার উপর ফের নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত

Share

‘পুতিনের কাজে খুশি নই’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কর্মকাণ্ডে আবারও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসে মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ক্যাবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প সরাসরি বলেন, “আমি পুতিনের কাজে খুশি নই, কারণ উনি প্রচুর মানুষকে হত্যা করছেন।” যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

পুতিনের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। বলেন, “পুতিন আমাদের উপর আক্রমণ করেন। এটা কী ধরনের বন্ধুত্ব?” অতীতে ট্রাম্প বরাবরই পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ রাখার পক্ষেও সওয়াল করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। বরং যুদ্ধ আরও রক্তক্ষয়ী হয়েছে। সেই কারণে এবার নিজের অবস্থানে বদল আনলেন ট্রাম্প।

তিনি জানান, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা একটি নিষেধাজ্ঞা বিল নিয়ে আলোচনা করছি। খুব শীঘ্রই বিষয়টি জানতে পারবেন সকলে।” এটি কার্যকর হলে রাশিয়ার অর্থনীতির উপর আরও চাপ পড়বে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। কারণ, রাশিয়া আগেই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপে ভুগছিল। সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করেছিল আমেরিকা, পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনার আশায়। কিন্তু যুদ্ধ না থামায় সেই সিদ্ধান্ত ফের বিবেচনায় আসছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, পুতিনের নেতৃত্বে ইউক্রেনে যে ‘নৃশংস অভিযান’ চলছে, তা কূটনীতির সমস্ত নিয়মের পরিপন্থী। তিনি পুতিনের যুদ্ধনীতিকে “উপহাসযোগ্য ও বিপজ্জনক” বলে বর্ণনা করেন। তাঁর মতে, যুদ্ধ থামানোর বদলে পুতিন আরও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছেন, যার ফলে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, শহর পর শহর ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পই আবার শান্তি ফেরানোর পদক্ষেপ নেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে পৃথক আলোচনাও করেন তিনি। কিন্তু দু’পক্ষই যুদ্ধবিরতির শর্তে সম্মত না হওয়ায় কোনও স্থায়ী সমাধান এখনও বেরোয়নি। এর মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। এই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প মনে করছেন, কূটনীতির ভাষা নয়, এবার রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞাই হতে পারে সমাধানের পথ।

তাঁর মন্তব্যের জেরে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্ক, জ্বালানি বাজার ও ব্রিকস জোটে আমেরিকার অবস্থান—সব কিছুই এই নিষেধাজ্ঞা ঘিরে প্রভাবিত হতে পারে।

দলাই লামার জন্মদিনে মোদীর শুভেচ্ছায় ক্ষুব্ধ চিন! সরকারি প্রতিবাদ জানাল বেজিং, ভারতের পদক্ষেপে ‘হস্তক্ষেপ’ দেখছে চিনা প্রশাসন

Read more

Local News