Monday, December 1, 2025

আদিত্য না অর্জুন? প্রেম নিয়ে গুঞ্জনের মাঝেই ডেটিং অ্যাপ নিয়ে মুখ খুললেন সারা আলি খান!

Share

আদিত্য না অর্জুন?

চিত্রজগতের আঙিনায় যখনই কোনও নায়িকা কারও সঙ্গে বারবার দেখা দিতে শুরু করেন, তখনই শুরু হয় জল্পনা—তাঁরা কি প্রেমে পড়েছেন? সারা আলি খানকেও ঘিরে এমনই কৌতূহল বেড়ে চলেছে বলিপাড়ায়। একদিকে ‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবির সহ-অভিনেতা আদিত্য রায় কপূর, অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান অর্জুন প্রতাপ বাজওয়া—এই দুই পুরুষের সঙ্গে সারার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন থামছেই না। তবে অভিনেত্রী কি সত্যিই প্রেমে পড়েছেন? নাকি সঙ্গীর খোঁজে ভরসা রাখছেন কোনও ডেটিং অ্যাপে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল ভক্তমহলে, যার উত্তর দিলেন সারা নিজেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সম্পর্কের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে অকপট হয়েছেন সারা। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, একজন সঙ্গীকে আগে নিজের সম্পর্কের স্বীকৃতি দিতে হবে প্রকাশ্যে। কিন্তু তেমনটা সচরাচর হয় না বলেই মনে করেন তিনি। সারার মতে, একজন পুরুষ সবসময় রেস্তরাঁয় বিল দেবেন, এই ধারণা ভুল। তাঁর কথায়, “বিল ভাগ করে নেওয়াই উচিত। সম্পর্ক সমানতার হোক। আমি কোথায় যাচ্ছি, কী করছি জানতে চাইলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু মোবাইলে ট্র্যাকার লাগিয়ে আমাকে অনুসরণ করা হলে, বা প্রতিনিয়ত প্রমাণ চাইলে, সেটা মেনে নেওয়া কঠিন।”

আদিত্য রায় কপূরের সঙ্গে সিনেমার প্রচারে সারার খোলামেলা রসায়ন নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে। অনুরাগীরা বলছেন, ক্যামেরার সামনেই তাঁদের ঘনিষ্ঠতা চোখে পড়েছে, যা পর্দার বাইরেও প্রেমের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও রাজনীতির মঞ্চ থেকে আসা অর্জুন প্রতাপ বাজওয়ার সঙ্গে সারাকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে। তাঁদের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও তুমুল চর্চা হয়েছিল। তাহলে কে সারার হৃদয়ের সত্যিকারের অধিকারী?

এই প্রশ্নের মাঝেই উঠে আসে ডেটিং অ্যাপ প্রসঙ্গ। সারাকে নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল যে তিনি অ্যাপের মাধ্যমে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন। কিন্তু সারা নিজেই সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেন। বলেন, “আমি কখনও ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করিনি। অনেকেই করেন, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, কাউকে বুঝতে হলে সামনাসামনি দেখা দরকার। সব কিছু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যদি সেই মাধ্যমের ওপর নির্ভর করতে হয়, তা হলে ব্যাপারটা কৃত্রিম হয়ে যায়।”

সারার এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, তিনি এমন একজনকে খুঁজছেন যিনি শুধু বাহ্যিক মোহে নয়, তাঁর সঙ্গে মানসিক যোগাযোগও গড়ে তুলতে পারবেন। আর সেই যোগসূত্রের ভিত্তি হবে বিশ্বাস, সম্মান ও বাস্তব সংলাপ—not just screen time বা সোশ্যাল মিডিয়া স্টোরি।

ভারতের ব্রহ্মস হামলায় আতঙ্কিত পাকিস্তান, ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি’র কথা স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা

Read more

Local News