ডার্বি হ্যাটট্রিকের নায়ক আবার সবুজ-মেরুনে!
এক বছর পর সেই পুরনো ঠিকানায় ফিরে এলেন কিয়ান নাসিরি। জামশিদ নাসিরির পুত্র এবং ২০২২-এর আইএসএলে চিরস্মরণীয় ডার্বি হ্যাটট্রিকের নায়ক, এবার আবার সবুজ-মেরুন জার্সিতে মাঠ কাঁপাতে প্রস্তুত। চেন্নাইয়িন এফসি-তে এক বছর কাটিয়ে কিয়ান ফিরলেন মোহনবাগানে, যেখানে তাঁর ফুটবল জীবন শুরু হয়েছিল। চেন্নাইয়িনে নিয়মিত সুযোগ না পাওয়ার হতাশা থেকেই তিনি নিজেই পুরনো ক্লাবে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। মোহনবাগানও তাঁর অনুরোধে সাড়া দিয়েছে, তিন বছরের চুক্তিতে দলে নিয়েছে প্রাক্তন তারকাকে।
২০১৯ সালে মোহনবাগানের আই লিগ জয়ী দলে ছিলেন কিয়ান। এরপর ২০২২-এ কলকাতা ডার্বিতে তিনটি গোল করে রাতারাতি উঠে এসেছিলেন আলোচনার শীর্ষে। ইস্টবেঙ্গালের বিরুদ্ধে সেই ঐতিহাসিক হ্যাটট্রিক তাঁকে এনে দেয় সবুজ-মেরুন জনতার অগাধ ভালোবাসা এবং বিশ্বাস। সেই কিয়ান এবার ফিরে এসেছেন, আবারও ক্লাবের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে প্রস্তুত।
চেন্নাইয়িনে ওয়েন কয়েলের পরিকল্পনায় থাকলেও বাস্তবে মাঠে তাঁর উপস্থিতি ছিল সীমিত। ২০২4-25 মরশুমে ১৫টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ছ’টিতে তিনি প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন। তাতে কোনো গোল করতে পারেননি, ছিল মাত্র একটি অ্যাসিস্ট। একজন উদীয়মান ফরোয়ার্ডের জন্য যা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। ফলে নিজেই মোহনবাগান কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরনো ক্লাবে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আশ্চর্যজনকভাবে, মোহনবাগানে ফিরে তিনি আগের চেয়ে কম পারিশ্রমিক পেতে রাজি হয়েছেন। অর্থ নয়, খেলাধুলোর প্রতি ভালোবাসা এবং ক্লাবের প্রতি আবেগকেই তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর নিজের কথায়, “ফের কলকাতায় ফিরে ভাল লাগছে। সুযোগ পেলে নিজেকে আবার প্রমাণ করার চেষ্টা করব। এই ক্লাবেই আমার প্রথম খেলা শুরু। সেই জন্যই এই ক্লাবের প্রতি আমার একটা আলাদা আবেগ আছে।”
তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে সবুজ-মেরুন সমর্থক মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা। ক্লাবের তরফ থেকেও কিয়ানকে নিয়ে আশাবাদী কোচ এবং কর্মকর্তারা। এখন দেখার, আগের মতোই কি তিনি মোহনবাগানের আক্রমণভাগে নতুন প্রাণ এনে দিতে পারেন? তাঁর প্রত্যাবর্তন শুধুই আবেগ নয়—এটি হতে পারে মোহনবাগানের আক্রমণভাগে এক নতুন ধারা।

