Monday, December 1, 2025

চাকরি যাবে লাখো মানুষের? ট্রাম্পের অর্থবিল ঘিরে বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন ইলন মাস্ক

Share

চাকরি যাবে লাখো মানুষের?

মার্কিন রাজনীতিতে ফের তুঙ্গে বিতর্ক। কেন্দ্রবিন্দুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থবিল। কর ও ব্যয় সংকোচনের উদ্দেশ্যে তৈরি এই নতুন অর্থবিল এখনও পর্যন্ত শুধুই খসড়া। কিন্তু সেটা আইনে পরিণত হবে কি না, তা নিয়ে সারা দেশজুড়ে চাপানউতোর চলছে। কারণ একটাই— এই বিল পাশ হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি যাবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন খোদ ইলন মাস্ক। ট্রাম্প-পন্থী রিপাবলিকানদের ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছেন এই বিলকে।

এই সপ্তাহেই মার্কিন সেনেটে এই বিল নিয়ে ভোটাভুটির সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে বিতর্কসভা আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে। ঠিক সেই সময়েই বিতর্ক উসকে দিলেন মাস্ক। শনিবার, স্থানীয় সময় অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “এই ড্রাফট বিল আমেরিকার ভবিষ্যতের শিল্প ধ্বংস করে দেবে। এটি উন্মাদ এবং ধ্বংসাত্মক এক পরিকল্পনা। এতে অতীতের শিল্পকে রক্ষা করতে গিয়ে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও কর্মসংস্থানের কবর রচনা করা হচ্ছে।”

মাস্কের কথায়, এই বিল আইনে পরিণত হলে আমেরিকায় লক্ষাধিক কর্মসংস্থান বিলুপ্ত হবে এবং দেশের কৌশলগত ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে। তিনি এর সঙ্গে একটি সমীক্ষার ফলাফলও শেয়ার করেন, যেখানে প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয়েছে— অর্থবিল নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ রয়েছে।

এই বিলকে ট্রাম্প নিজের ভাষায় বলেছেন “বড় সুন্দর বিল”— যা দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করবে বলে তাঁর বিশ্বাস। মাস্কের যাবতীয় শঙ্কা এবং বক্তব্যকে তিনি খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সেনেটের রিপাবলিকানদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ৪ জুলাইয়ের মধ্যেই এই বিল যেন পাশ হয়।

কিন্তু এই পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল। কারণ মাস্ক শুধু আমেরিকার ধনীতম ব্যবসায়ীই নন, এক সময় ট্রাম্প প্রশাসনের অঙ্গও ছিলেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে তৈরি হয়েছিল ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই)। এই দফতরের প্রধান করা হয়েছিল মাস্ককে। কাজ ছিল সরকারের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো। সেখান থেকেই মাস্ক পদত্যাগ করেছেন কিছু দিন আগে। আর তার পর থেকেই ক্রমাগত ট্রাম্পের বিলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন তিনি।

তবে বিল নিয়ে ট্রাম্প-মাস্কের বিরোধ আজকের নয়। অতীতে বিল নিয়ে দুই পক্ষের ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়িও সামনে এসেছিল। যদিও পরে উভয়েই নিজেকে সংযত করেছিলেন। কিন্তু শনিবার মাস্কের আক্রমণ আবারও নতুন করে বিতর্ক জাগিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মাস্কের মতো প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর এই স্পষ্ট অবস্থান সেনেটে বিল পাশের পথে বড় রকম বাধা তৈরি করতে পারে।

সপ্তাহের মধ্যেই সেনেটে বিল নিয়ে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে রিপাবলিকানদের জন্য একদিকে রয়েছে ট্রাম্পের চাপ, অন্যদিকে মাস্কের সতর্কতা। আর তাতেই আমেরিকার রাজনৈতিক অন্দরমহলে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ক্রমাগত।

উইম্বলডনে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে আলকারাজ়, জোকোভিচের প্রতিপক্ষ মুলার, তাপপ্রবাহে চিন্তায় আয়োজকরা

Read more

Local News