দিঘার মন্দিরে প্রথম রথযাত্রা!
আসন্ন রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আবহে সাজে উঠেছে সমুদ্রতট শহর দিঘা। আর সেই প্রস্তুতির মাঝে বুধবার দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের রথযাত্রা দিঘার জন্য ঐতিহাসিক—কারণ, সদ্য নির্মিত জগন্নাথ মন্দির থেকে এই প্রথম বার গড়াবে রথের চাকা। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, রশি টেনে সূচনা করবেন রথযাত্রার।
দিঘায় ঢোকার আগে কাঁথিতে গাড়ি থামিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজনকে শুভেচ্ছা জানান, কথা বলেন তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গেও। এরপর হঠাৎই ঘুরে যান মারিশদা থানায়, যদিও তাঁর সেই সফরের কারণ স্পষ্ট নয়। থানায় কয়েক মুহূর্ত কাটিয়ে তিনি রওনা দেন দিঘার উদ্দেশ্যে। পথে একাধিকবার গাড়ি থামিয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি রামনগরে বিধায়ক অখিল গিরির সঙ্গে পা মেলান মিছিলে।
রথযাত্রা উপলক্ষে এবার দিঘায় যে জগন্নাথ উৎসবের আয়োজন, তা অত্যন্ত ব্যতিক্রমী। কারণ, সদ্য প্রতিষ্ঠিত নতুন মন্দির থেকেই এবার রথ বেরোবে তিন বিগ্রহকে নিয়ে। পুরনো মন্দির পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পথ ধরে চলবে এই শোভাযাত্রা। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় দিঘার রথযাত্রা যেন রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে, সেই উদ্দেশ্যে প্রশাসনিক প্রস্তুতিও তৎপর। প্রায় আড়াই লক্ষ দর্শনার্থীর আগমন প্রত্যাশিত, আর সেই ভিড় সামাল দিতে নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোয় কোনও খামতি রাখেননি মমতা। প্রশাসন, পুলিশ, দমকল ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে চলেছে প্রস্তুতি।
নবান্ন সূত্রে খবর, রথযাত্রার আগেই মুখ্যমন্ত্রী সরেজমিনে দেখতে চান কীভাবে প্রস্তুতি চলছে। তাই আগেভাগেই দিঘায় পৌঁছেছেন তিনি। বুধবার রাত পর্যন্ত যদিও জগন্নাথ মন্দিরে যাননি মমতা, তবে পরদিন রথযাত্রার সূচনায় তাঁর উপস্থিতি প্রায় নিশ্চিত।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের খবরে দ্বিঘার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা স্টেশন পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে দেওয়া হয়েছে কাঠের ব্যারিকেড, নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যান চলাচল। শহরের নানা প্রান্তে বসানো হয়েছে নজরদারি ক্যামেরা। পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
রথযাত্রা উপলক্ষে শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রও নতুন গতি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তার নেতৃত্বে নিজে উপস্থিত থেকে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে মমতা যেন আরও একবার প্রমাণ করলেন—দক্ষ প্রশাসক শুধু নয়, তিনি এক জন সংস্কৃতিবান রাজনীতিকও।
“দেশের সম্মান আগে”— পাকিস্তানি অভিনেত্রীর সঙ্গে দিলজিতের কাজ নিয়ে মুখ খুললেন মিকা সিং

