জগন্নাথদেবের পুজোয় বিশ্বাস কাঞ্চনের!
রথযাত্রা মানেই ভক্তির উৎসব। আর সেই ভক্তির ছোঁয়া টলিপাড়ার শ্রীময়ী চট্টরাজ ও কাঞ্চন মল্লিকের বাড়িতেও। অভিনেত্রী শ্রীময়ী এখন মল্লিকবাড়ির পুত্রবধূ। আর এই বাড়িতে প্রায় প্রতিটি পুজোই হয় নিখাদ নিষ্ঠা আর আন্তরিকতায়। তবে রথযাত্রা যে তাঁদের কাছে আলাদা গুরুত্বের, তা জানালেন শ্রীময়ী নিজেই।
এই মুহূর্তে কাঞ্চন ও শ্রীময়ী রয়েছেন লাভায়, প্রাকৃতিক ছুটিতে। কিন্তু রথযাত্রার আগেই তাঁরা ফিরবেন কলকাতায়। কারণ, এই দিনটি তাঁদের কাছে শুধুই ধর্মীয় আনুষ্ঠান নয়, এক আবেগের জায়গা। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আলাপচারিতায় শ্রীময়ী বলেন, “আমাদের বাড়িতে সব ধরনের পুজোই হয়। কাঞ্চনদা জগন্নাথদেবকে খুব মানে। যেমন আমি গোপালকে মনে করি সব কিছু জানেন, শুনেন— ঠিক তেমনই কাঞ্চনের কাছে জগন্নাথদেব তেমনই ঈশ্বর।”
শ্রীময়ীর কথায় উঠে আসে তাঁদের পুজোর সরলতা। খুব জাঁকজমক নয়, বরং আত্মিক বিশ্বাসই তাঁদের রথযাত্রার মূল সুর। তিনি বলেন, “আমরা খুব নিয়ম-কানুনে বাঁধা নই। মন থেকে যা আসে, সেটাই করি। নিজেদের মতো করে ভোগ বানাই, রথও কিনে আনি। তবে রথের দিন কাঞ্চনদাকে যেতে হয় উত্তরপাড়ায়। সেখানে বড় করে রথ উৎসব হয়, তাই ও পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটায়।”
শ্রীময়ী আরও জানান, “মা কালীর পুজোয় যেমন অনেক নিয়ম থাকে, অনেক বিধিনিষেধ থাকে— কিন্তু জগন্নাথদেবের পুজোয় তেমন কোনও কড়াকড়ি নেই। ঈশ্বর তো হৃদয়ের কথা বোঝেন, নিয়মের খোলসে বন্দি নন।” তাঁর মতে, ভক্তি আর বিশ্বাসই বড়, নিয়ম নয়।
এই দম্পতির মতোই টলিপাড়ার আরও অনেক তারকাও রথযাত্রা পালন করেন ঘরোয়া ভাবে। ইমন চক্রবর্তী থেকে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী— অনেকেই রথের সময় আনন্দ ভাগ করে নেন ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই। যদিও এ বছর তাঁরা রয়েছেন মরিশাসে, তাই বাড়ির রথ উৎসবে তাঁদের অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
তবে যেখানেই থাকুন না কেন, রথযাত্রা যে শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এক সামাজিক আবেগ, তা স্পষ্ট শ্রীময়ী-কাঞ্চনদের মতো পরিবারগুলির উদাহরণে। নিজেদের মতো করে, সহজ-সরল নিয়মে, উৎসবকে জীবনের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়াই তাঁদের বড় প্রাপ্তি।
“জসপ্রীত, আমাদের তোমাকে দরকার!”— স্ত্রীকে বোঝাতে বললেন গাওস্কর-পুজারা, বুমরার জবাবে মজার টুইস্ট

