বোর্ডে সৌরভ-জয়ের দ্বৈরথ?
২০১৯ থেকে ২০২২— তিন বছরের বিসিসিআই প্রেসিডেন্সির মেয়াদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছিলেন সচিব জয় শাহ। সেই সময় নিয়ে এবার সরাসরি মুখ খুললেন সৌরভ। তিন বছরের সেই অভিজ্ঞতায় মিল, মতানৈক্য, দায়িত্ব, এবং বোর্ড রাজনীতির নানা স্তর উঠে এল তাঁর জবানে।
সৌরভ বলেন, “জয়ের নিজস্ব কাজের ধরন ছিল। ওর আলাদা মত থাকত, এবং সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু একটা কথা বলতেই হয়— ও সব সময় ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য কাজ করেছে।” বোঝা গেল, মতপার্থক্য থাকলেও সৌরভ জয়কে পুরোপুরি খারিজ করছেন না।
তবে তাঁর কথায় একাধিকবার ঘুরেফিরে এসেছে জয় শাহের “ক্ষমতার উৎস”— অমিত শাহের পুত্র হওয়া। সে বিষয়ে সৌরভ বলেন, “জয়ের সমর্থন ছিল, রাজনৈতিক পরিসরও ছিল। ফলে ও যদি কিছুটা শক্তভাবে নিজের মত চাপিয়ে দেয়, তা অবাক করার নয়।” বোঝাই যাচ্ছে, ‘একজন প্রাক্তন অধিনায়ক’ ও ‘একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান’ হিসেবে দু’জনের বোর্ড চালানোর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আলাদা।
সম্পর্ক ভাল, মত আলাদা
তবে সৌরভ স্পষ্ট করে বলেছেন, ব্যক্তিগত স্তরে তাঁদের সম্পর্ক সব সময়ই সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, “যখন ও বিসিসিআই সচিব হল, তখন অনেকটাই ছোট ছিল। কিন্তু শুরু থেকেই খুব সহায়ক ছিল। যখনই দরকার পড়ত, কথা বলা যেত। যোগাযোগের অভাব ছিল না।”
জয়কে প্রশংসা করতেও পিছপা নন সৌরভ
প্রাক্তন অধিনায়ক মনে করেন, জয় যত সময় কাটিয়েছেন, তত ক্রিকেট প্রশাসনে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। “ও শিখেছে, পরিণত হয়েছে। এখনও ক্রিকেটারদের পাশে থাকে। ওর একটা ভালো দিক— সব সময় ক্রিকেটের ভালটা চায়,” বলেন সৌরভ।
রাজনৈতিক চাপও টের পেয়েছেন জয়?
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক স্পষ্ট করেছেন ‘দাদা’— জয় শাহ যে শুধু সচিব নয়, তিনি একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সন্তান। এবং সে বোঝা সব সময় তাঁকে বয়ে বেড়াতে হয়েছে। “জয় খুব সৎ। কিন্তু ওর পিছনে কে আছে, সেটাও সব সময় মাথায় রাখতে হত। সহজ নয় সেটা,” বলেন সৌরভ।
ভুলও হয়েছে, তবে অজ্ঞাতসারে
বোর্ড চালাতে গিয়ে ভুলভ্রান্তি যে হয়নি, তা নয়। সৌরভ বলেন, “আমরা সকলেই ভুল করি। আমিও করেছি, জয়ও করেছে। তবে ইচ্ছা করে নয়, কখনও জেনেশুনে কিছু করিনি।”
জয় এখন আইসিসি-র মাথায়
বিসিসিআই থেকে বিদায় নিয়ে এখন জয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (ICC) চেয়ারম্যান। তার মানে, আরও বড় দায়িত্বের মুখে তিনি। সৌরভ জানালেন, “জয় এখন অনেক বড় পদে, অনেক কিছু শিখেছে। আশা করি আরও সাফল্য পাবে।”
এই খোলামেলা কথাবার্তা নিঃসন্দেহে বোর্ডের ভেতরের সম্পর্কের জটিলতা, দ্বন্দ্ব এবং সহযোগিতার খোলসটা খানিকটা খুলে দিল।
“জসপ্রীত, আমাদের তোমাকে দরকার!”— স্ত্রীকে বোঝাতে বললেন গাওস্কর-পুজারা, বুমরার জবাবে মজার টুইস্ট

