কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠল দোহা!
ইরান-আমেরিকা উত্তেজনার আবহে এবার বিস্ফোরণ কাতারের রাজধানী দোহায়। রবিবার ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার জবাবে সোমবার রাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) কাতারে আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি ‘আল-উদেইদ’-এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান। তেহরানের রেভলিউশনারি গার্ড এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। দোহা শহরের আকাশে পরপর আলোর রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটির উপর এই সরাসরি আঘাতের অর্থ হল, ইরান আর কথায় নয়—কর্মে জবাব দিচ্ছে।
উত্তেজনার উৎস: রবিবারের মার্কিন হামলা
গত রবিবার (২৩ জুন) আমেরিকা ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে আঘাত হানে। এর মধ্যে ছিল পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত ‘ফোরডো’ কেন্দ্রও। এই অভিযানের পরেই ইরান হুঁশিয়ারি দেয়—এই লড়াই শুরু করলেও শেষটা আমেরিকার হাতে নেই। আর সেই হুঁশিয়ারির মাত্র এক দিনের মধ্যেই কাতারে হামলা।
কাতারে হামলার বিস্তারিত
ইরান জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য শুধুই আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি, যা কাতারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। তারা কাতার বা কাতারবাসীকে লক্ষ্য করেনি বলেও স্পষ্ট করেছে তেহরান। তবে কাতার সরকার কড়া ভাষায় এই হামলার নিন্দা করেছে। কাতারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, ‘‘এটা কাতারের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধিও লঙ্ঘিত হয়েছে।’’
ভারতের দূতাবাসও কাতারে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক ও ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কাতার সরকারও বিমানবন্দর ও আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
আঞ্চলিক পরিস্থিতি আরও জটিল
এই ঘটনার পর আবারও প্রমাণিত হল, পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। রবিবারের হামলায় আমেরিকা সরাসরি যুক্ত হওয়ার পর ইরান জানিয়েছিল, তারা পাল্টা আঘাত করবে এবং মার্কিন বাহিনীর পালানোর কোনও পথ থাকবে না।
এমনকি পেন্টাগনও জানিয়েছে, তারা উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কাতারের মতো দেশের মাটিতে হামলা মার্কিন জোটের প্রতি বড় বার্তা।
ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই, তবে সতর্কতা চরমে
যদিও কাতার জানিয়েছে, এই হামলায় প্রাণহানি বা বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তবে আল-উদেইদ ঘাঁটির নিরাপত্তা ঘিরে নতুন করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, কাতারকে ‘বন্ধু’ বললেও, ইরান এ বার আমেরিকাকে বুঝিয়ে দিল—তাদের ‘প্রত্যাঘাত’ শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
এই মুহূর্তে বিশ্বের নজর এখন তেহরান, দোহা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপের দিকে।
৩৫ হাজার ফুটে ও আরামেই ভেসে থাকুন! দীর্ঘ উড়ানে আরাম পাওয়ার ৭টি সহজ টিপস

