Monday, December 1, 2025

শেষ মুহূর্তের চাঞ্চল্যকর বার্তা! অবশেষে মিলল অভিশপ্ত বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স

Share

অবশেষে মিলল অভিশপ্ত বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স!

চার দিনের টানা তল্লাশির পর অবশেষে মিলল অহমদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়া এআই১৭১ বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বা এই ভয়েস ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হওয়ায়, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে পাইলট ও সহ-পাইলটের কথোপকথন বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে পারবে তদন্তকারী দল।

গত ১২ জুন আহমদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রানওয়ে ছেড়ে সামনের একটি ভবনে সজোরে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি। মুহূর্তেই বিস্ফোরণ ঘটে, আগুন জ্বলে ওঠে। দুর্ঘটনায় গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী-সহ ২৪১ জন যাত্রী ও কর্মীর মৃত্যু হয়। মাত্র একজন যাত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। সরকারি হিসাবে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭০-তে।

দুর্ঘটনার পরদিনই বিমানটির প্রথম ব্ল্যাক বক্স, অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছিল ডাক্তারদের হোস্টেল ভবনের ছাদ থেকে। সেখানে বিমান সংক্রান্ত কারিগরি তথ্য রেকর্ড থাকে। তবে বিমানের ককপিটের মধ্যেকার শেষ মুহূর্তের কথোপকথন জানতে এই দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই ভয়েস রেকর্ডার থেকে পাওয়া অডিয়ো সূত্র বলছে, পাইলট দুর্ঘটনার ঠিক আগে “থ্রাস্ট নেই, বিমান নিচে নামছে” বলে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে বার্তা পাঠান। এরপরই রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ‘মে ডে’ কল পাঠানো হলেও প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়ই পাওয়া যায়নি। ককপিটের ভয়েস রেকর্ডে হয়তো আরও বিস্তারিত তথ্য মিলবে— পাইলটদের তৎপরতা, শেষ সিদ্ধান্ত, যান্ত্রিক ত্রুটি ইত্যাদি।

রবিবার দুর্ঘটনাস্থলে যান প্রধানমন্ত্রীর প্রধানসচিব পিকে মিশ্র। সোমবার ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের পর কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে। তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) ও এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI)। তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

এই দুই ব্ল্যাক বক্সই এখন তদন্তের মূল প্রমাণ। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি কী অবস্থায় পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানানো হলেও, তদন্তকারীদের মতে, তা ব্যবহারযোগ্য। তথ্য বিশ্লেষণ করে শীঘ্রই জনসমক্ষে আসবে দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র।

এই আবিষ্কারে আশা করা যাচ্ছে, এত বড় বিপর্যয়ের নেপথ্যের কারণ দ্রুত জানা যাবে। আর ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া সম্ভব হবে।

ইংল্যান্ড সফরের আগে শুভমনকে সৌরভের দুটি জরুরি পরামর্শ

Read more

Local News