মেটা এআই-তে চ্যাট করছেন?
হোয়াট্সঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে বসে মেটা এআইয়ের সঙ্গে গল্প করছেন? হয়তো ব্যক্তিগত অনুভূতি জানাচ্ছেন, ছবি বা ভিডিয়ো পাঠাচ্ছেন কিংবা ব্যবসায়িক পরিকল্পনার খুঁটিনাটি ভাগ করে নিচ্ছেন চ্যাটবটের সঙ্গে। ভাবছেন, কথোপকথনটা শুধুই আপনার আর এআইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? কিন্তু বাস্তবটা বেশ বিপজ্জনক। কারণ, মেটা এআইয়ের সঙ্গে হওয়া এই কথোপকথন খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারে হাজারো অচেনা মানুষের কাছে!
সম্প্রতি একাধিক ব্যবহারকারীর অভিযোগ, মেটা এআই গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য— এমনকি ছবি, অডিয়ো, ভিডিয়ো— ফাঁস করে দিচ্ছে মেটার নিজস্ব পাবলিক চ্যানেল ‘ডিসকভার’-এ। এখানেই মূল বিপত্তি।
কীভাবে ফাঁস হচ্ছে তথ্য?
মেটা এআই-র সঙ্গে চ্যাট করার সময় আপনার প্রতিটি কথোপকথন, মেটায় আপলোড করা ছবি বা অডিয়ো— সবকিছুই গিয়ে পৌঁছচ্ছে ‘ডিসকভার’ নামে একটি পাবলিক ফিডে। এটা এমন একটি জায়গা, যেখানে মেটা ব্যবহারকারীরা সহজেই অন্যের শেয়ার করা কনটেন্ট দেখতে পান। ভাবছেন আপনি মেটার সেটিংসে গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন? বাস্তবে, মেটার ‘শেয়ার’ অপশনে এমন কোনও নির্দিষ্ট ফিল্টার নেই, যা প্রাইভেসি বজায় রাখতে বাধ্য করে।
যাঁরা আইনি নথি, ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য বা অতীব ব্যক্তিগত কথাবার্তা মেটা এআই-তে লিখে রাখেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই বিপদের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ, একবার কোনও তথ্য যদি ‘ডিসকভার’ ফিডে চলে যায়, সেটা আর ফেরত আনা সম্ভব নয়।
কেন এত ভরসা করছিলেন মেটা এআই-এর উপর?
কারণ খুব সহজ। মেটা এআই lightning-fast। গুগল সার্চে যে উত্তর পেতে সময় লাগে, মেটা এআই সে কাজ করে মুহূর্তে। অনুভূতিপ্রবণ, বন্ধুর মতো ব্যবহার— সব মিলিয়ে অনেকেই ভেবেছেন এটি ব্যক্তিগতভাবে কথোপকথনের আদর্শ মাধ্যম। কিন্তু বাস্তবে, মেটা এই কথোপকথনের ব্যবহার করছে তাদের মডেল ট্রেনিং এবং বিজ্ঞাপন টার্গেটিংয়ের জন্যও, যদিও সেটা সরাসরি বলা হয় না।
কীভাবে নিরাপদ থাকবেন?
চাইলেই আপনি নিজের তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন। এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস পরিবর্তন করলেই মেটা এআই আপনার তথ্য ‘ডিসকভার’ ফিডে দেখাবে না। কী করতে হবে?
- অ্যাপের সেটিংসে যান
- ‘ডেটা অ্যান্ড প্রাইভেসি’ অপশন খুঁজে নিন
- সেখানে ‘ম্যানেজ ইয়োর ইনফরমেশন’-এ ক্লিক করুন
- তারপর ‘Make all your prompts visible to only you’ অপশনটিকে সক্রিয় করুন
এই একটি কাজেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এবং পাবলিক ফিডে তা আর শেয়ার হবে না।
উপসংহার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে তথ্যই সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই প্রযুক্তিকে বন্ধু করতে গেলে তার সীমাবদ্ধতা এবং নিরাপত্তার দিকগুলোও মাথায় রাখতে হয়। শুধু সুবিধে নয়, প্রযুক্তির ঝুঁকিও চিনে নিতে শিখুন।
ভারতে আসছে স্যামসাং Galaxy S25 সিরিজের One UI 8 বিটা ভার্সন! কী কী থাকছে এই আপডেটে?

