দীপিকা-বঙ্গা বিতর্কে এবার মুখ খুললেন কাজল!
দীপিকা পাড়ুকোনের ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং না-করার শর্ত নিয়ে বলিউডে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই এবার মুখ খুললেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কাজল। দীপিকার মতো সরাসরি কারও নাম না করলেও, কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন একেবারে সোজাসাপ্টা ভাষায়।
সম্প্রতি দীপিকা রেড্ডি বঙ্গার আগামী ছবি স্পিরিট-এ অভিনয়ের জন্য শর্ত দেন— তিনি দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং করবেন না, আর পারিশ্রমিক হিসাবে দাবি করেন ২০ কোটি টাকা। প্রযোজক পক্ষ এই শর্ত মানতে না চাইলে, দীপিকাকে বাদ দেওয়া হয় সেই প্রজেক্ট থেকে। এরপরই শুরু হয় ‘কাজ বনাম নারীবাদ’ বিতর্ক। সেই বিতর্কে এবার যুক্ত হল কাজলের মন্তব্য।
কাজলের স্পষ্ট বার্তা: “আমি পরিবারের সময় নিয়েই চলি”
এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন, “আমি কোনও দিনই দিনে ২০ ঘণ্টা কাজ করিনি, করবও না। আমার কাছে পরিবারই সব সময় অগ্রাধিকার পেয়েছে।” তিনি জানান, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি একসঙ্গে চার-পাঁচটি ছবি হাতে নেননি। একটি ছবি শেষ করে তবে অন্যটিতে যেতেন। “আমি কখনও শ্যুটিং ফ্লোরে সারারাত কাটিয়ে কাজ করার পক্ষপাতী নই,” বলেন তিনি।
কাজলের মতে, অভিনয়শিল্পী হওয়া মানেই ব্যক্তিগত জীবন বিসর্জন দেওয়া নয়। বরং একজন নারী অভিনেত্রীও পরিবার এবং ক্যারিয়ারের মধ্যে একটা ভারসাম্য গড়ে তুলতে পারেন, যদি তিনি নিজের সীমারেখা ঠিক করে নিতে পারেন।
নাইসা জন্মের পরেই সিদ্ধান্তে স্থিরতা
অভিনেত্রী বলেন, “২০০৮ সালে ইউ, মি অউর হম ছবির সময় আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, নাইসা তখন মাত্র ২ বছরের। সেই সময় অজয় (দেবগণ) প্রযোজক হিসেবে এমনভাবে শিডিউল সামলেছিল যে, আমি কাজ সেরে দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারি।” এই উদাহরণ টেনেই কাজল বোঝাতে চাইলেন, পরিবার এবং পেশার মধ্যে ভারসাম্য রাখা একেবারে অসম্ভব নয়।
নারীবাদ বনাম বাস্তবতা?
যদিও দীপিকার এই সীমিত সময়ের কাজের চাহিদাকে কেউ কেউ ‘নাখরা’ বলে কটাক্ষ করেছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন এটি নারীবাদেরই অংশ— নিজের সময়কে গুরুত্ব দেওয়া। তবে কাজলের মত, বিষয়টি নারী-পুরুষ বিভাজনের নয়, বরং কাজের পরিমাণ আর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রশ্ন।
অভিনেত্রী বলেন, “আমরা যারা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত, তাদের মধ্যে কাজ নিয়ে প্রচণ্ড উন্মাদনা কাজ করে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, পরিবারকে ভুলে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, নিজের মতো কাজ করার জায়গাটা তৈরি করে নেওয়া উচিত, বিশেষ করে নারীদের।”
এই বিতর্কের মাঝেই কাজলের মত যেন আরও একবার প্রমাণ করল— পেশাগত সাফল্য এবং ব্যক্তিগত শান্তি একে অপরের পরিপন্থী নয়, বরং দুটোই সম্ভব যদি সীমারেখা টানা যায়।
চাইলে আপনি দীপিকার দাবি নিয়ে সমালোচনার বিশ্লেষণ, নারীবাদের প্রসঙ্গ, বা বলিউডের কাজের সংস্কৃতি নিয়েও আরও জানতে পারেন।
ভারতে আসছে স্যামসাং Galaxy S25 সিরিজের One UI 8 বিটা ভার্সন! কী কী থাকছে এই আপডেটে?

