এক দিনে পড়ল ১৪ উইকেট, এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া!
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রথম দিনেই ম্যাচে ছড়িয়ে পড়ল উত্তেজনা। লর্ডসের সবুজ উইকেট আর মেঘলা আকাশ যেন স্বর্গ হয়ে উঠল বোলারদের জন্য। পুরো দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৭৮.৪ ওভার, আর তাতেই পড়েছে ১৪টি উইকেট। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ২১২ রানে। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম দিন শেষে ৪৩ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ব্যাকফুটে।
রাবাডার আগুনে শুরু, জানসেনের বুদ্ধিদীপ্ত সঙ্গ
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং সেটা যে ভুল ছিল না, তা শুরুতেই স্পষ্ট হয়। কাগিসো রাবাডা মাত্র সপ্তম ওভারেই আঘাত করেন দুইবার, তুলে নেন উসমান খোয়াজা (০) ও ক্যামেরন গ্রিনকে (৪)। বিশেষ করে গ্রিনের ক্যাচটি অসাধারণ নেন এডেন মার্করাম। পরে মার্নাশ লাবুশেনকে ফেরাতে অনবদ্য বাউন্সার এবং পরের বলেই জানসেন পান মূল্যবান উইকেট।
রাবাডার ৫ উইকেটের পাশাপাশি জানসেন নেন ৩ উইকেট। টানা গুড লেংথ বল করে অজি ব্যাটারদের শ্বাসরোধ করে দেন তাঁরা। মাঝের সময় কিছুটা লড়াই দেন স্মিথ (৬৬) ও ওয়েবস্টার (৭২), কিন্তু শেষ পাঁচ উইকেট মাত্র ২৩ রানেই পড়ে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপর্যয়: চার উইকেট এক সেশনেই
অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা শুরু থেকেই চাপে রাখেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথম ওভারে স্টার্কের বলে আউট মার্করাম (০)। রিকেলটন ফেরেন ১৬ রানে। এরপর অলরাউন্ডার মুল্ডারকে (৬) এবং অধিনায়ক বাভুমাকে (৩) যথাক্রমে কামিন্স ও হেজ়লউড ফেরালে দক্ষিণ আফ্রিকা তলিয়ে যেতে থাকে। দিনের শেষ ওভারে বেডিংহ্যাম দুটো চার মারলেও ততক্ষণে বোঝা গেছে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এগিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস: সুযোগ হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
ওয়েবস্টার যখন মাত্র ৮ রানে ছিলেন, তখন রাবাডার বলে প্যাডে লাগলেও রিভিউ নেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটাই পরে ম্যাচের চেহারা বদলে দেয়। ওয়েবস্টার ৭২ রান করে দলকে টানেন। একইসঙ্গে স্মিথও দেখিয়ে দেন কেন তিনি এখনও দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার।
দ্বিতীয় দিনে নজর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে
প্রথম দিন শেষে ম্যাচের চেহারা এমন যে স্পষ্ট—এই টেস্টে যার বোলিং গভীরতা বেশি, ম্যাচ তার দখলে। দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও ১৬৯ রানে পিছিয়ে। তাদের ইনিংস বাঁচাতে দ্বিতীয় দিনে বড় ভূমিকা নিতে হবে মিডল অর্ডার ও টেলএন্ডারদের।
টানা উইকেট হারিয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত প্রোটিয়া ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়াতে গেলে দরকার ধৈর্য, স্ট্রোকের বুদ্ধিমত্তা আর উইকেটের কদর। না হলে এই ম্যাচ তিন দিনের মধ্যেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
চল্লিশের পর ফিটনেস মানে শুধু ঘাম নয়, সচেতনতা! লিসা রে জানালেন কোন ব্যায়াম থেকে দূরে থাকবেন

