Monday, December 1, 2025

‘গজনি’র জন্য ২০০ থেকে ১০০০! আমিরের অ্যাবস তৈরির অদম্য লড়াই

Share

আমিরের অ্যাবস তৈরির অদম্য লড়াই!

২০০৮ সালের ‘গজনি’ মুক্তির সময় দর্শকদের চোখ কপালে উঠেছিল শুধুমাত্র একটি কারণে— আমির খানের চেহারা! সেই সময় হিন্দি ছবিতে এমন কাটা-ছাঁটা সুঠাম দেহ, ছ’প্যাক অ্যাবস খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু আমির সে ধারণা বদলে দিয়েছিলেন চিরতরে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই জানালেন, চরিত্রের জন্য কী অসাধ্য সাধন করেছিলেন তিনি।

চরিত্রের প্রয়োজনেই নিজের শরীরকে একেবারে নতুন ভাবে গড়ে তুলেছিলেন আমির। দিনে ৩-৪ ঘণ্টা শরীরচর্চা, কঠোর ডায়েট এবং প্রায় সামরিক নিয়মে চলা একটা গোটা জীবন। সেই সময় আমিরের ওয়ার্কআউট রুটিন নিয়ে একটি ভিডিওও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা গিয়েছিল, কীভাবে প্রতিদিন পেটের ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতেন তিনি।

আমির বলেছিলেন, “ওয়ার্ম-আপ আর অ্যাবস একসঙ্গে করতে চাইতাম। তাই প্রথমেই প্রায় ২০০ বার পেটের ব্যায়াম করতাম। এর মধ্যে থাকত ২৫টি ক্রাঞ্চ এবং ২৫টি হ্যাঙ্গিং লেগ রেইজ।”

কিন্তু এখানেই শেষ নয়। শরীর এক সময় ওই রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলেন তিনি। ২০০ থেকে ৩০০, তারপর ৫০০— এইভাবে কয়েক মাসের মধ্যে ১০০০ রেপস পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন আমির!

এই এক হাজার বার পেটের ব্যায়াম সম্পূর্ণ করতে তাঁর সময় লাগত প্রায় ৫৫ মিনিট। এরপর থাকত আরও এক ঘণ্টার ইনটেনসিভ কার্ডিয়ো ও বডি ট্রেনিং। প্রতিদিন শরীরের দু’টি নির্দিষ্ট অংশকে লক্ষ্য করে ব্যায়াম করতেন তিনি।

অভিনেতা বলেন, “ওয়ার্কআউট শেষ হতেই মনে হতো শরীর আর চলছে না। স্নান করে সোজা ঘুমিয়ে পড়তাম।”

এতটা কঠোর পরিশ্রম এবং নিয়মানুবর্তিতার পেছনে কারণ ছিল আমিরের অভিনয়প্রেম। চরিত্রের প্রয়োজনে নিজের দেহ ও জীবনশৈলী বদলে ফেলতে তিনি যে কতটা প্রস্তুত, ‘গজনি’ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

তবে আমির নিজেও স্বীকার করেন, এটি ছিল একটি অসাধারণ শারীরিক চ্যালেঞ্জ। আজকের দিনে বিশেষজ্ঞরা বলেন, একাধিক পেশিতে অতিরিক্ত চাপ দিলে তা শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। ফলে এই ধরনের ইনটেনসিভ রুটিন অবশ্যই ফিটনেস ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।

ফিটনেস বা পরিশ্রম নিয়ে যদি আপনি অনুপ্রাণিত হতে চান, আমির খানের এই সফর নিঃসন্দেহে এক দৃষ্টান্ত।

চল্লিশের পর ফিটনেস মানে শুধু ঘাম নয়, সচেতনতা! লিসা রে জানালেন কোন ব্যায়াম থেকে দূরে থাকবেন

Read more

Local News