Monday, December 1, 2025

মাস্কের বিদায় ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে: ট্রাম্পের প্রশাসন ছাড়লেন ‘বিশেষ পরামর্শদাতা’!

Share

মাস্কের বিদায় ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তিপতি ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক হঠাৎ করেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করলেন। বুধবার তিনি জানালেন, “আমার নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে।” যদিও কথাটি যতটা সহজ শোনায়, তার পেছনের কাহিনি ততটাই জটিল—বিশেষ করে মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে সাম্প্রতিক মতবিরোধের প্রেক্ষাপটে।

ট্রাম্পের ‘বিশেষ ভরসা’ ছিলেন মাস্ক

ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন, তখনই মাস্ককে নিজের ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতার ভূমিকায় নিয়োগ দেন। শুধু তাই নয়, মাস্কের জন্য ‘বিশেষ সরকারি কর্মচারী’ হিসেবে তৈরি হয় আলাদা দফতর—ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (DoGE)। এই দফতরের মূল কাজ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক খরচ কমিয়ে, করদাতাদের অর্থ বাঁচানো।

প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে গঠিত এই দফতরকে মাস্ক নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে জনকল্যাণমূলক খাতে বাজেট বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনি বেশ কিছু সাহসী প্রস্তাবও এনেছিলেন।

হঠাৎ পদত্যাগ, কিন্তু কেন?

বিদায়ের কারণ হিসেবে মাস্ক বলেছেন—“দায়িত্বের সময়সীমা শেষ।” তবে রাজনৈতিক মহল এই পদত্যাগকে একেবারে স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ। কারণ, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই এক গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণ বিল নিয়ে মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে প্রকাশ্য মতবিরোধ হয়েছিল।

ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, বিলটি দেশের বাজেট ঘাটতি কমাবে। কিন্তু মাস্ক, ঠিক তার উল্টো মন্তব্য করে বলেছিলেন, এতে সরকারি খরচ আরও বাড়বে এবং তার দফতরের কাজের পরিধি সংকুচিত হবে। মাস্কের এই প্রকাশ্য সমালোচনায় ট্রাম্পও নড়েচড়ে বসেন, এবং জানান বিলটি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।

ব্যবসায়িক লক্ষ্যে ফেরার ইঙ্গিত?

মাস্কের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এ পদত্যাগের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো ব্যবসায়িক অগ্রাধিকার। টেসলা, স্পেসএক্স, নিউরালিঙ্ক এবং X-এর মতো প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া কোনও সহজ কাজ নয়। তিনি আগেই বলেছিলেন, সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্যবসায় মনোযোগ দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ছিল। টেসলার সাম্প্রতিক একটি বৈঠকেও মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, মে মাসেই তার প্রশাসনিক দায়িত্ব শেষ করতে চান।

বিদায়বেলায় ট্রাম্পকে কৃতজ্ঞতা

যদিও মতবিরোধ ছিল, বিদায়ের সময় মাস্ক একটুও অহংকার দেখাননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে মার্কিন জনগণের অর্থ বাঁচানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই।” এই বার্তায় তিনি নিজের কাজের মূল্যায়ন করলেন, আবার ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করলেন।

রাজনীতিতে মাস্কের ভবিষ্যৎ?

এখন প্রশ্ন উঠছে, মাস্ক রাজনীতির মঞ্চ থেকে পুরোপুরি সরে গেলেন, নাকি এটাও তার দীর্ঘমেয়াদি কোনও পরিকল্পনার অংশ? সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাস্ক যেভাবে নীতিনির্ধারণী স্তরে সক্রিয় হয়েছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন—এটা সাময়িক বিরতি মাত্র।

৭৫-এ সুদৃঢ়, জিমে ঝড় তুলছেন রাকেশ রোশন! ফিট থাকার ৭টা সিক্রেট এক্সারসাইজ

Read more

Local News