কোহলির ব্যাটে ইতিহাস!
আইপিএল ২০২৫-এর লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে রূপকথার মতো এক রাত উপহার দিলেন বিরাট কোহলি। তাঁর ব্যাটিং যেন একটাই উদ্দেশ্য জানে—ইতিহাস তৈরি করা। আরসিবি-র এই আইকনিক ব্যাটার এক ম্যাচেই তিনটি অনন্য রেকর্ড গড়লেন, সঙ্গে দল হিসেবেও ইতিহাসে নাম লেখাল বেঙ্গালুরু।
কোহলির ব্যাটে তিন তিনটি রেকর্ড
মঙ্গলবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে কোহলি ব্যাট হাতে যা করলেন, তা শুধুই পরিসংখ্যান নয়—এ এক ক্রিকেট-রূপকথার ধারাবাহিকতা। ৩০ বলে ৫৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে তিনি গড়েছেন আইপিএলের সর্বাধিক অর্ধশতরান করার রেকর্ড। এই ইনিংসের মধ্যে দিয়েই কোহলির অর্ধশতকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩—যা ডেভিড ওয়ার্নার (৬২)-কে ছাপিয়ে এককভাবে প্রথম।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি কোহলি। চলতি মরসুমে ৬০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি, যা নিয়ে মোট পাঁচবার তিনি আইপিএলের একটি মরসুমে ৬০০ বা তার বেশি রান করলেন। ২০১৩, ২০১৬, ২০২৩, ২০২৪-এর পরে ২০২৫-এও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন তিনি। এই নজিরে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন লোকেশ রাহুলকেও, যিনি চারবার এই কীর্তি দেখিয়েছেন।
তৃতীয় রেকর্ডটি আরও ঐতিহাসিক। একটি নির্দিষ্ট টি-টোয়েন্টি দলের হয়ে ৯০০০ রান পূর্ণ করেছেন কোহলি—এমন অর্জন ক্রিকেটের ইতিহাসে আগে কেউ করেননি। আরসিবি-র জার্সি গায়ে তাঁর মোট রান এখন ৯০০৪, যার মধ্যে আইপিএলে ৮৫৭৯ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাকি অংশ।
বেঙ্গালুরুর দলীয় কীর্তিও নজিরবিহীন
ব্যক্তিগত সাফল্যের পাশাপাশি, দল হিসেবেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তৈরি করল নতুন ইতিহাস। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও দল একটি মরসুমে সব অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতল। সাতটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছে আরসিবি, এবং সাতটিতেই জয়—যা আর কোনও দল আগে করতে পারেনি।
এই কৃতিত্ব দল হিসেবে আরসিবির দৃঢ়তা, পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন এবং খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসকেই প্রতিফলিত করে। বরাবরের মতো সমালোচনার কেন্দ্রে থাকা এই দল এবার নিজেদের প্রমাণ করল নতুনভাবে।
উপসংহার
বিরাট কোহলি শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি এক চলমান রেকর্ডবই। মঙ্গলবারের পারফরম্যান্সে তা আবারও প্রমাণ হল। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য আর দলীয় ঐতিহ্য একসঙ্গে রচনা করল এক অনন্য অধ্যায়। আইপিএল মানেই উত্তেজনা, কিন্তু এমন কীর্তির সন্ধ্যা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বহু দিন ধরে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
আপনি চাইলে আমি এর জন্য SEO হেডলাইন, মেটা বিবরণ, বা SERP ফ্র্যাগমেন্ট তৈরি করে দিতে পারি।
কবিতা না কি যুদ্ধ? নুসরতের রহস্যঘেরা পোস্টে কি সম্পর্ক পুনর্মিলনের ইঙ্গিত?

