মুম্বইকে হারিয়ে প্রথম দুইয়ে পঞ্জাব!
আইপিএল ২০২৫-এর লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুণ জয় পেল পঞ্জাব। সোমবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম দুইয়ে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলল শ্রেয়স আইয়ারের দল। এর ফলে, পঞ্জাব সরাসরি প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে— যেখানে জয় মানেই দীর্ঘ ১১ বছর পর আইপিএল ফাইনালে প্রবেশ।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করে মুম্বই তোলে ১৮৪/৭। সূর্যকুমার যাদব (৫৪) ছাড়া বাকিরা ব্যর্থ। ওপেনার রায়ান রিকেলটন একটু আগ্রাসী শুরু করলেও রোহিত শর্মার ধীরগতির ব্যাটিং চাপ তৈরি করে দলের উপর। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হন তিলক বর্মা, উইল জ্যাকসরা। হার্দিক পাণ্ড্য কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও ইনিংস বড় করার মতো সঙ্গ পাননি সূর্য।
মুম্বইয়ের ইনিংসে একমাত্র আশার আলো ছিল সূর্যকুমার ও নমন ধীরের এক ওভার— যেখানে বিজয়কুমার বিশাখের বলে ২৩ রান ওঠে। কিন্তু সেই গতি থামিয়ে দেন অর্শদীপ সিংহ, যিনি পরের ওভারে দু’জনকেই ফিরিয়ে দেন।
১৮৫ রানের লক্ষ্যে নেমে পঞ্জাবের শুরুটা একটু চাপে থাকলেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ান প্রিয়াংশ আর্য ও জশ ইংলিস। শুরুতেই প্রভসিমরন সিংহের উইকেট হারায় দলটি। যদিও পরের সময়টা একতরফা হয়ে যায় ইংলিস ও প্রিয়াংশের দাপটে। দু’জনেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যান আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে। বিশেষ করে প্রিয়াংশের ১২তম ওভারে হার্দিককে ছয় মেরে হাফসেঞ্চুরি পূরণ ছিল দারুণ।
ম্যাচের মাঝখানে ডাগআউটের সামনে ব্যাট হাতে খুশিমনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্রেয়স। ক্যামেরা সেই মুহূর্তটি ধরে রাখে— যেন অধিনায়কের মুখে স্পষ্ট লেখা ছিল জয় আসন্ন। ম্যাচ জেতার পাশাপাশি প্রথম দুইয়ে থাকাও নিশ্চিত হওয়ায় খুশি শ্রেয়সের সেই অভিব্যক্তি ছিল একদম প্রাকৃতিক।
শেষদিকে ইংলিস (৭৩) এবং প্রিয়াংশের (৬১) আউট হলেও ততক্ষণে জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ১৮.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পঞ্জাব। উল্লেখযোগ্যভাবে, শ্রেয়স এবার প্রথম অধিনায়ক হতে পারেন, যিনি পরপর দু’বছর দু’টি আলাদা দলকে আইপিএল ফাইনালে তুলেছেন।
মুম্বইয়ের তরফে বুমরাহ ছাড়া কেউই বল হাতে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে পরিণতির অভাব তাদের হারিয়ে দিল সহজেই।
এখন পঞ্জাবের সামনে বড় সুযোগ— প্রথম কোয়ালিফায়ারে জয় মানেই আইপিএল ফাইনাল। ফর্ম, আত্মবিশ্বাস আর ছন্দের বিচারে তারা এখন এক ধাপ এগিয়ে।
এশিয়ান কাপে খেলাই এখন লক্ষ্য, সতীর্থদের বার্তা দিলেন মরিয়া সুনীল ছেত্রী

