বন্ধুর বিয়েতে আলিয়ার আনন্দ!
সদ্য ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে একের পর এক নজরকাড়া সাজে দর্শকদের মুগ্ধ করে স্পেনে উড়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। উদ্দেশ্য— ঘনিষ্ঠ বন্ধু তানিয়া সাহা গুপ্ত ও ডেভিড অ্যাঞ্জেলভের বিয়েতে যোগ দেওয়া। রঙিন লেহেঙ্গা, মাথায় ব্যান্ডানা আর চোখে রোদচশমায় আলিয়া যেন খোশমেজাজে বন্ধুদের সঙ্গে সময় উপভোগ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিগুলি ছড়িয়ে পড়তেই প্রশংসার পাশাপাশি শুরু হয়েছে কটাক্ষও।
অনুরাগীদের একাংশের প্রশ্ন— এমন আনন্দে মেতে উঠলেও কোথায় আলিয়ার মেয়ে রাহা? কেন এই অনুষ্ঠানে সঙ্গে নেই কন্যা ও স্বামী রণবীর কপূর? অনেকেই বলছেন, ব্যস্ততা সত্ত্বেও বন্ধুর বিয়েতে যাওয়ার সময় পেলেও সন্তানকে সময় দিতে পারছেন না আলিয়া। কটাক্ষ এতটাই তীব্র যে অনেকে সরাসরি তুলনা করেছেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সঙ্গে।
একজন মন্তব্য করেছেন, “ঐশ্বর্যাকে দেখুন, আরাধ্যাকে সর্বদা সঙ্গে রাখেন। আপনি কেন পারবেন না?” অনেকে আবার মনে করছেন, সিনেমার শুটিং বা বিদেশ ভ্রমণের সময় না হোক, অন্তত বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে মেয়েকে সঙ্গে নেওয়া উচিত ছিল আলিয়ার।
তবে এই সমালোচনা যে একপাক্ষিক নয়, সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। কেননা এক সময় ঐশ্বর্যাও ছিলেন এমনই কটাক্ষের শিকার— “কেন সব জায়গায় আরাধ্যাকে নিয়ে যান?” এই প্রশ্নও উঠেছিল তীব্রভাবে। অর্থাৎ, সন্তানকে সঙ্গে রাখলে যেমন প্রশ্ন ওঠে, না রাখলেও সমালোচনার ঝড় থামে না।
আলিয়া নিজে বহুবার বলেছেন, পরিবার তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মেয়েকে সময় দেন, যতটা পারেন কাছেই রাখেন। কিন্তু সবসময় সেটি সম্ভব না-ও হতে পারে। আর সেই যুক্তিতে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ মনে করছেন, একজন মা এবং কর্মজীবী নারীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে সম্মান করা উচিত।
তবুও প্রশ্ন উঠছে— বিখ্যাত মায়েদের কি ব্যক্তিগত সময় বলে কিছু নেই? সামাজিক রীতিনীতি আর মা হওয়ার দায়িত্বের চাপে তারা কি সব সময় কাঠগড়ায়?
এই বিতর্কের কেন্দ্রে আলিয়া হলেও, এটি আরও বড় এক প্রশ্নের দিকে ইঙ্গিত করছে— সমাজ কি আদৌ বুঝতে চায় একজন নারীর দ্বৈত ভূমিকা? নাকি শুধুই তুলনা আর সমালোচনার ফাঁদে ফেলতে ভালোবাসে?
এশিয়ান কাপে খেলাই এখন লক্ষ্য, সতীর্থদের বার্তা দিলেন মরিয়া সুনীল ছেত্রী

