তুরস্ক-যোগ, ‘অপারেশন সিঁদুর’!
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে দেরিতে প্রতিক্রিয়া—এই দুই কারণে সম্প্রতি একাংশের ক্ষোভের কেন্দ্রে বলিউড তারকা আমির খান। দাবি উঠেছে তাঁকে এবং তাঁর আসন্ন ছবি সিতারে জমিন পর–কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার। যদিও এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমির নিজে, তবে তার হয়ে এগিয়ে এলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সুনীল শেট্টি।
ঘটনার সূত্রপাত বহু পুরনো একটি ছবি ঘিরে। ২০১৭ সালে তুরস্ক সফরের সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা যায় আমিরকে। সেই ছবি হঠাৎ করে ফের ভাইরাল হয়, বিশেষ করে যখন তুরস্কের পাকিস্তানপ্রীতি বারবার উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক মহলে। আর এই পুরনো ছবির সূত্র ধরেই নেটাগরিকদের একাংশ আমিরের দেশভক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এর পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আমির খান মুখ না খুললেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটাগরিকদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছায়। অভিযোগ—দেশ যখন এক জঙ্গি হামলার বদলা নিচ্ছে, তখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হয়ে কেন নীরব ছিলেন তিনি? পরে অবশ্য আমির প্রতিক্রিয়া দেন, তবে অনেকটাই দেরিতে, যা ক্ষোভ প্রশমনে ব্যর্থ হয়।
এই প্রসঙ্গেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন সুনীল শেট্টি। তাঁর মতে, “সব সময় বলিউডকে নিশানা করা হয়। দেশের বিষয়ে তো রাজনীতিকেরা বলবেন। আমরা তো শিল্পী, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি—দেশাত্মবোধক ছবি বানাচ্ছি, সমাজে সচেতনতা ছড়াচ্ছি। দেশের প্রতি আমাদের ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়।”
তুরস্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানুষের অতীত ভুলে যাওয়া উচিত। ২০১৭ সালের একটি ছবি আজকে টেনে এনে একজনকে কাঠগড়ায় তোলা অন্যায়। কে কোথায় কাদের সঙ্গে ছবি তুলবে, সবসময় সেটা মনে রাখা সম্ভব নয়। বড় কোনও অনুষ্ঠানে গেলে, অনেক সময় না জেনেই এমন ছবি তোলা হয়। আবার ছবি না তুললেও বলা হবে অহংকারী। তাই কী করলে কে খুশি হবে, সেটা বলা কঠিন।”
আমির খানের সর্বশেষ ছবি লাল সিংহ চড্ডা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তার পর অনেকদিন ক্যামেরার বাইরে ছিলেন তিনি। ‘সিতারে জমিন পর’ দিয়ে আবারও বলিউডে ফিরছেন আমির। কিন্তু তার আগেই এই বিতর্ক নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে এনে দিল তাঁকে।
সুনীল শেট্টির মতে, আজকের কাজ দিয়েই বিচার হওয়া উচিত একজন শিল্পীর। অতীতে কী করেছেন, সেটা নয়, বরং ভবিষ্যতে কী করছেন, তাতে নজর দেওয়া দরকার।
আপনার জিমেল আইডি কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? সতর্ক না হলে বিপদ ডেকে আনতে পারেন!

