Monday, December 1, 2025

সল্টলেক থেকে সিলিকন ভ্যালি — প্রযুক্তিতে ভারতের আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলছে ‘টেকনো ইন্ডিয়া’

Share

সল্টলেক থেকে সিলিকন ভ্যালি !

প্রায় চার দশক আগে কলকাতার সল্টলেকে এক নিরব বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল। হাতে ছিল মাত্র ৫ টাকা, আর সঙ্গে ছিল একরাশ স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তব হয়ে উঠেছে — ‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’ নামে। যাত্রা শুরু হয়েছিল এক ছোট্ট পদক্ষেপে, আর আজ তা দাঁড়িয়েছে পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহত্তম শিক্ষা সংস্থায়, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা পৌঁছে যাচ্ছেন সরাসরি সিলিকন ভ্যালিতে।

চার দশকের লড়াই, লক্ষ লক্ষ জীবনের স্পর্শ

টেকনো ইন্ডিয়ার শুরু হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে স্কুলে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়টি আনার মাধ্যমে। তখনই বোঝা গিয়েছিল, ভবিষ্যতের পথে হাঁটার এটি এক সাহসী পদক্ষেপ। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গড়ে উঠেছে একশোরও বেশি ক্যাম্পাস, তৈরি হয়েছে ৬ লক্ষেরও বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থীর এক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক, আর তার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে গুগল ও আইবিএম-এর মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি সংস্থাগুলি।

‘স্কুল অফ দ্য ফিউচার’ — যেখানে ভবিষ্যৎ শুরু হচ্ছে

‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’-র অধীনে চালু হয়েছে ‘স্কুল অফ দ্য ফিউচার’ — একটি এমন প্ল্যাটফর্ম যেখানে শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে শুধুই পড়া নয়, বরং শেখানো হচ্ছে কীভাবে ভবিষ্যৎ গড়া যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), আন্তঃবিষয়ক শিক্ষা (Interdisciplinary Learning), বাস্তবভিত্তিক মেন্টরিং, সবই এক ছাদের নিচে।

বিশ্বমানের প্রযুক্তি শিক্ষার সঙ্গে গাঁটছড়া

২০২৪ সালে, টেকনো ইন্ডিয়া গুগল ও আইবিএম-এর সঙ্গে যৌথভাবে চালু করে AI, মেশিন লার্নিং, ডেটা সায়েন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং-এর উপর যুগান্তকারী ডিগ্রি ও গবেষণা প্রোগ্রাম। শুধু পড়াশোনা নয়, শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বাস্তব অভিজ্ঞতা — গুগলের আধুনিক টুলস, আইবিএম-এর সার্টিফিকেশন, এবং লাইভ প্রজেক্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ।

ক্যাম্পাস থেকে কর্পোরেট — যাত্রা অব্যাহত

এই প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ে বেরিয়ে বহু শিক্ষার্থী আজ কর্মরত অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, ইনফোসিস, ডেলয়েট, পিডাব্লিউসি-র মতো শীর্ষ সংস্থায়। কেউ কেউ পেয়েছেন বছরে ২২ কোটি টাকা পর্যন্ত বেতন, আবার কেউ পৌঁছেছেন বিদেশে আন্তর্জাতিক অফার হাতে নিয়ে।

৪০ বছর পূর্ণ, ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি

চল্লিশ বছরের পথচলা উদ্‌যাপন করছে ‘টেকনো ইন্ডিয়া’, কিন্তু শুধুই পেছন ফিরে দেখছে না। লক্ষ্য ভবিষ্যৎ। তারা বিশ্বাস করে — প্রতিভা তখনই বিকশিত হয়, যখন তার পাশে থাকে সুযোগ। আর সেই সুযোগ দেওয়ার দিকেই এগিয়ে চলেছে এই সংস্থা।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির দরজা এখন খুলে দেওয়া হয়েছে। যারা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নেতৃত্বে এগিয়ে থাকতে চায়, তাদের জন্য এই প্রতিষ্ঠান হতে পারে এক আদর্শ মঞ্চ। সল্টলেক থেকে শুরু করে সারা ভারত, আর আজ সিলিকন ভ্যালির পথে — টেকনো ইন্ডিয়া শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এক স্বপ্নের কারখানা।

সরস্বতী নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা কাগজেই সীমাবদ্ধ? বাস্তব কাজ এখনও অধরা

Read more

Local News