সৌদিতে ওয়েইসি, ব্রাজিলে তারুর!
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বার্তা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে ৩২টি দেশে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল। সাতটি দলে ভাগ করা হয়েছে ৫৯ জন সদস্যকে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ কূটনীতিকরাও। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ থেকেও রয়েছেন দুই সাংসদ — তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান ও বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য।
প্রতিটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের প্রভাবশালী নেতারা। শনিবারই কেন্দ্র সাতটি দলের নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেছিল। এবার প্রকাশ পেল পূর্ণাঙ্গ তালিকা — কে যাচ্ছেন কোথায়, কার নেতৃত্বে, কাদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে কোন দল।
তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান যাচ্ছেন সঞ্জয় কুমার ঝার নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে। তাঁরা সফর করবেন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুরে। অন্যদিকে, বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য থাকছেন রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলে, যারা যাবে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ডেনমার্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দফতরে।
প্রথম দলে রয়েছেন মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুলাম নবি আজ়াদ ও কূটনীতিক হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। নেতৃত্বে রয়েছেন বৈজয়ন্ত পাণ্ডা। তাঁদের গন্তব্য সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরিন ও আলজেরিয়া।
দ্বিতীয় দলে আছেন শমীক ভট্টাচার্য ছাড়াও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমজে আকবর, কংগ্রেসের অমর সিংহ, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, এবং কূটনীতিক পঙ্কজ সরন।
তৃতীয় দল — যেখানে ইউসুফ পাঠান আছেন — সেখানে আরও রয়েছেন সিপিএমের জন ব্রিট্টাস, কংগ্রেসের সলমন খুরশিদ এবং কূটনীতিক মোহন কুমার।
চতুর্থ দল যাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কঙ্গো ও সিয়েরা লিওনে। একনাথ শিন্ডের পুত্র শ্রীকান্ত শিন্ডে নেতৃত্বে। দলে আছেন বাঁসুরি স্বরাজ, মহম্মদ বশির ও প্রাক্তন সাংসদ এসএস অহলুওয়ালিয়া।
পঞ্চম দলের নেতৃত্বে কংগ্রেসের শশী তারুর। তাঁরা ভ্রমণ করবেন আমেরিকা, ব্রাজিল, পানামা, কলম্বিয়া ও গুয়ানায়। দলে আছেন তেজস্বী সূর্য, মিলিন্দ দেওরা এবং তরণজিৎ সিংহ সান্ধুর মতো পরিচিত মুখ।
ষষ্ঠ দল যাবে স্পেন, গ্রিস, স্লোভেনিয়া, লাটভিয়া ও রাশিয়ায়। নেতৃত্বে ডিএমকের কানিমোঝি করুণানিধি।
শেষ অর্থাৎ সপ্তম দলের নেতৃত্বে রয়েছেন এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে। তাঁরা যাবেন মিশর, কাতার, ইথিওপিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়। দলে রয়েছেন রাজীব প্রতাপ রুডি, মণীশ তিওয়ারি, অনুরাগ ঠাকুর এবং কূটনীতিক সইদ আকবরউদ্দিন।
এই বিশাল কূটনৈতিক অভিযান শুরু হবে ২৩ মে থেকে। বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে ইউসুফ পাঠান ও শমীক ভট্টাচার্যদের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ভারতের ভাবমূর্তি ও নিরাপত্তা বার্তা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিতে এই প্রতিনিধিদল কতটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার।
সরস্বতী নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা কাগজেই সীমাবদ্ধ? বাস্তব কাজ এখনও অধরা

