Monday, December 1, 2025

বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কড়া পদক্ষেপ, ভারতে নিষিদ্ধ তুরস্কের সেলেবি অ্যাভিয়েশন

Share

ভারতে নিষিদ্ধ তুরস্কের সেলেবি অ্যাভিয়েশন!

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলিতে আর দেখা যাবে না তুরস্কের সংস্থা সেলেবি অ্যাভিয়েশনকে। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই বৃহস্পতিবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার— বাতিল করে দেওয়া হল ওই সংস্থার ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’। এর ফলে দেশের কোনও বিমানবন্দরে আর কাজ করতে পারবে না সেলেবি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।

এই সংস্থাটি দেশের ন’টি বড় বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা, মালবাহী বিমান পরিচালনা, র‌্যাম্প হ্যান্ডলিং, বিমানবন্দর লাউঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়াতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক, ক্ষুব্ধ দিল্লি

ঘটনার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। সেই অভিযানের পরেই পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এরদোয়ান। অভিযোগ, তুরস্ক থেকেই অস্ত্রভর্তি বিমান পৌঁছেছিল পাকিস্তানে। এমনকি, ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ড্রোনও তুরস্ক থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি।

এই প্রেক্ষিতে সেলেবি অ্যাভিয়েশনের মতো তুরস্কের একটি সংস্থার ভারতের বিমানবন্দরে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। কারণ, বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার হাতে দেশের বিমান চলাচল সংক্রান্ত বহু স্পর্শকাতর তথ্য থাকে। অন্তর্ঘাত ঘটলে তার পরিণাম হতে পারে মারাত্মক।

গোয়েন্দা নজরদারি ও কেন্দ্রের কঠোর সিদ্ধান্ত

সূত্রের খবর, গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও বেশ কিছু দিন ধরে সেলেবি অ্যাভিয়েশনের কার্যকলাপের উপর নজর রাখছিল। সংস্থার বিদেশ সংযোগ, রাজনৈতিক অবস্থান এবং অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড সব দিক খতিয়ে দেখেই কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে মনে করা হচ্ছে।

এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর অর্থ, এখন থেকে তারা আর ভারতের কোনও বিমানবন্দরে কাজ করতে পারবে না।

বিশ্ব জুড়ে বড় নাম, কিন্তু ভারতের দরজা বন্ধ

প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালে তুরস্কে শুরু হওয়া সেলেবি অ্যাভিয়েশন বর্তমানে বিশ্বের ছ’টি দেশে ৭০টিরও বেশি বিমানবন্দরে কাজ করে। ভারতেও বহু বছর ধরে সক্রিয় ছিল তারা। কিন্তু রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনও আপস করতে নারাজ ভারত।

এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট— শুধু অর্থনৈতিক লাভ নয়, আন্তর্জাতিক ব্যবসার ক্ষেত্রেও এখন মুখ্য হয়ে উঠেছে নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক দায়বদ্ধতা।

সেলেবির মতো সংস্থা যত বড়ই হোক, যদি তাদের কার্যকলাপে দেশের নিরাপত্তার হুমকি থাকে, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ করতেই প্রস্তুত কেন্দ্র।

বিরাটের বিদায়ের পর অনুষ্কার আবেগ, ব্যথিত মাইকেল ভন ও ক্রিকেটের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা

Read more

Local News