এআই-এর হাত ধরে আরও গভীর বন্ধুত্ব!
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন শুধু প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যম নয়, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও বড় ভূমিকা নিচ্ছে। সেই ছবিটাই যেন আরও একবার স্পষ্ট হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে। আবুধাবিতে এআই-ভিত্তিক ‘ফাইভ-জি ডব্লু ইউএই-ইউএস এআই ক্যাম্পাস’-এর উদ্বোধন করে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বার্তা দিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
এই নতুন ক্যাম্পাসটি এআই মডেল তৈরির জন্য বৃহৎ পরিসরে ডেটা সেন্টার তৈরি করবে। মার্কিন বাণিজ্য দফতরের দাবি, আমেরিকার বাইরে এটাই তাদের অন্যতম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার হতে চলেছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং আমেরিকা একসঙ্গে মিলেমিশে এআই প্রযুক্তিতে কাজ করবে — এই ঘোষণা দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিল।
এই সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘ সময়ের ভাল বন্ধু। এই সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চাই।”
আরব প্রেসিডেন্টও দ্বিধাহীন ভাবে জানিয়ে দেন, “বিশ্বজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমেরিকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।” তিনি আরও জানান, আগামী ১০ বছরে আমিরশাহি আমেরিকায় বিনিয়োগ করবে প্রায় ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ইতিমধ্যেই পাকা হয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ঘুরে দেখেন আবুধাবির ঐতিহাসিক শেখ জায়েদ মসজিদ। পরে দুই রাষ্ট্রনেতা একান্ত নৈশভোজে বসেন। এই সফরে তাঁদের মূল লক্ষ্য— প্রযুক্তি ও কূটনীতির মেলবন্ধনে দু’দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যৌথ উদ্যোগ শুধু অর্থনৈতিক নয়, ভবিষ্যতের বিশ্বরাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। কারণ, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে এআই হয়ে উঠছে নতুন শক্তির প্রতীক।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই চুক্তি ও উদ্যোগ কেবল অর্থনৈতিক বা প্রযুক্তি কেন্দ্রিক নয়, বরং তা দুই দেশের কূটনৈতিক বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবেও ধরা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন একটাই— শুধু প্রযুক্তি বিনিয়োগেই কি থেমে থাকবে এই সম্পর্ক? নাকি ভবিষ্যতে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, মহাকাশ কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো আরও নানা খাতে একসঙ্গে কাজ করবে আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি?
এই সফরের মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, দুই দেশ সেই পথেই এগোতে চাইছে। আর তার নেতৃত্বে আছে এআই— এক নতুন যুগের হাতছানি।
বিরাটের বিদায়ের পর অনুষ্কার আবেগ, ব্যথিত মাইকেল ভন ও ক্রিকেটের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা

