রিঙ্কু সিংহের জাদু, তিনটি বাউন্ডারি বাঁচিয়ে কেকেআরকে জেতালেন!
আইপিএল ২০২৫-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) খেলা এক দারুণ নাটকীয় মুহূর্তে পৌঁছাল। ম্যাচটি শেষ হওয়ার পর এক জন নাম্বার এক তারকা হিসেবে উঠে এলেন রিঙ্কু সিংহ। ব্যাটিংয়ের চেয়ে ফিল্ডিংই যে তার কাছে অনেক বেশি প্রিয়, সেটি আবারও প্রমাণ করলেন এই তরুণ। তিনটি নিশ্চিত বাউন্ডারি আটকে দিয়ে এবং শেষ ওভারে দুর্দান্ত থ্রো দিয়ে রান আউট করে তিনি দলের জয়ে অবদান রাখলেন।
রিঙ্কু সিংহের ফিল্ডিংয়ের কথা বললে, এটি কোনও সাধারণ দিন ছিল না। প্রথমে, ১৬তম ওভারের প্রথম বলে তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করলেও একটি চার বাঁচাতে পারেননি, তবে তার পরের দুই প্রয়াসে পুরো ম্যাচের কাহিনী বদলে দেন। ১৭তম ওভারে সুনীল নারাইনের বল রিয়ান পরাগের ব্যাট থেকে ডান দিকে ঠেলে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই ঝাঁপ দিয়ে বাঁচিয়ে দেন বাউন্ডারি। এরপর ১৯তম ওভারে শুভম দুবে যখন মিড অফে খেলেছিলেন, রিঙ্কু এক হাতে ঝাঁপ দিয়ে বল আটকালেন, দুটি রান বাঁচালেন।
কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ২০তম ওভারের শেষ বলে। এই মুহূর্তে তিনি রান আউট করার জন্য দুর্দান্ত থ্রো দেন। আর্চার কভারে শট মারলেও, রিঙ্কু দৌড়ে এসে থ্রো দিয়ে আর্চারকে রান আউট করলেন।
ম্যাচ শেষে রিঙ্কু সিংহ বললেন, “বাউন্ডারি বাঁচানো খুব জরুরি ছিল, কারণ ইডেনের আউটফিল্ড খুব দ্রুত। আমি বুঝি, এই মাঠে বাউন্ডারি আটকে রাখা আমার দায়িত্ব। আমি সত্যিই ব্যাটিংয়ের চেয়ে ফিল্ডিং করতে বেশি ভালবাসি।”
রিঙ্কুর ফিল্ডিং দক্ষতা কেবলমাত্র সেদিনের ম্যাচে ছিল না। তার ফিল্ডিংই কেকেআরকে সেদিন ম্যাচ জিতিয়ে প্লে-অফের জন্য আশার আলো দেখায়। তিনি আরও যোগ করেন, “রাসেল এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ রান করেছে, আমাদের জন্য খুবই দরকার ছিল। আমি সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছি এবং জয়ী হতে পারলাম।”
রিঙ্কু সিংহের জন্য এই জয়টি শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং দল হিসেবে কেকেআরের শক্তিরও একটি উজ্জ্বল মুহূর্ত। এখনো প্লে-অফ নিয়ে ভাবছেন না তিনি। বলেছেন, “একটা একটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাই, ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করছি না।”
চোট উপেক্ষা করে সোনা! পুণেতে ঋতু ও প্রতিষ্ঠার জিমন্যাস্টিকে স্বর্ণোজ্জ্বল লড়াই

