Monday, December 1, 2025

কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান জোরদার: কুলগামে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি, গ্রেফতার দুই সহযোগী

Share

কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান জোরদার!

পহেলগাঁওয়ে মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার রেশ কাটেনি এখনও। উপত্যকার আকাশে ঘনীভূত হয়েছে প্রতিশোধের মেঘ। সেই ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা তুঙ্গে। শনিবার সকালে কুলগামে আবারও গুঁড়িয়ে দেওয়া হল দু’জন সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হল জঙ্গিদের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও, যারা নাকি দীর্ঘদিন ধরে কুলগামের একটি এলাকায় লুকিয়ে ছিল।

অভিযানে ধ্বংস জঙ্গিদের আস্তানা

কাশ্মীরের কুলগাম জেলার কাইমো এলাকার ঠোকরপোরায় গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রাতভর চলে যৌথ অভিযান। শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় দু’জন সন্দেহভাজনকে, যারা পহেলগাঁও হামলাকারী জঙ্গিদের সরঞ্জাম এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থায় সহায়তা করেছিল বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ এখনই তাদের পরিচয় বা জবানবন্দি সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।

জঙ্গিদের বাড়ি গুঁড়িয়ে সাফ বার্তা

এদিন ধ্বংস করা হয় জ়াকির আহমেদ গনি নামক এক সন্দেহভাজনের বাড়ি। নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, জ়াকির সরাসরি হামলায় যুক্ত না থাকলেও, নেপথ্যে থেকে পরিকল্পনা এবং লজিস্টিক সাপোর্টে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। হামলার পর থেকেই সে গা ঢাকা দিয়েছে। তার বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ছবি ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগের রাতেই পুলওয়ামার মুরান গ্রামে বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় আহসান আল হক শেখ নামে আরও এক সন্দেহভাজনের বাড়ি। আর শুক্রবারই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল মূল হামলাকারী আদিল হুসেন ঠোকর এবং আসিফ শেখের বাড়ি। একটির ক্ষেত্রে বুলডোজ়ার, অন্যটির ক্ষেত্রে আইইডি বিস্ফোরণ ব্যবহার করে এই ধ্বংসপ্রক্রিয়া চালানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর লাগাতার অভিযান

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সদ্য এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের ভারত এমন ‘কল্পনাতীত’ শাস্তি দেবে, যা বিশ্ব দেখবে। সেই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়েছে একের পর এক অভিযানে জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস এবং সহযোগীদের গ্রেফতার। কুলগাম, অনন্তনাগ থেকে শুরু করে উপত্যকার বহু এলাকায় চলছে তল্লাশি।

হামলার নেপথ্যে TRF, পাকিস্তান যোগের অভিযোগ

পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন— যাঁদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি পর্যটক। অভিযোগ উঠেছে, ধর্মপরিচয় যাচাই করে টার্গেট করে খুন করা হয়েছিল পর্যটকদের। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজ়িসট্যান্স ফোর্স’ বা TRF, যারা পাকিস্তানের লস্কর-ই-তইবার একটি শাখা। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সেনাবাহিনীর স্পষ্ট বার্তা— সন্ত্রাসবাদে জড়িত শুধু জঙ্গি নয়, তাদের সাহায্যকারী, আশ্রয়দাতা— কারও রেহাই নেই। কাশ্মীর জুড়ে সেই বার্তারই বাস্তব রূপ এখন দৃশ্যমান।

পহেলগাঁও হামলা: বলিউডের তারকাদের ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র বার্তা

Read more

Local News