খেলার ধকল কাটাতে পঞ্জাবের নতুন অস্ত্র: ফুটবল তারকা হালান্ডের ‘নরমাটেক’ পদ্ধতি
দু’মাসের দীর্ঘ আইপিএল মরশুমে ম্যাচের পর ম্যাচ খেলতে হয় ক্রিকেটারদের। তাই এক ম্যাচের পর শরীর-মনকে তরতাজা করে তোলাই বড় চ্যালেঞ্জ। এবার সেই সমস্যা সমাধানে অভিনব পথ ধরেছে পঞ্জাব কিংস। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার, ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ডের অনুসরণে পঞ্জাবের ক্রিকেটাররা এখন ব্যবহার করছেন ‘নরমাটেক’ পদ্ধতি।
কী এই নরমাটেক?
নরওয়ের তারকা ফুটবলার হালান্ড একাধিকবার চোটে ভুগেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই শরীরকে সুস্থ রাখতে তিনি ভরসা রেখেছেন ‘নরমাটেক’ প্রযুক্তিতে। এটি এমন একটি রিকভারি পদ্ধতি, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ক্লান্ত পেশি বা ব্যথা দ্রুত সারিয়ে তোলে। ম্যাচের ধকল সামলে দ্রুত মাঠে ফেরার জন্য এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত কার্যকর বলে মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পঞ্জাবের সাজঘরে নতুন ট্রেন্ড
পঞ্জাব কিংসের বর্তমান স্পোর্টস ফিজিয়োথেরাপিস্ট অ্যান্ড্রু লিপাস এবং স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লে রুক্স জানাচ্ছেন, খেলা শেষে খেলোয়াড়েরা বরফজলে স্নান করছেন, কেউ হোটেলে ফিরে নিচ্ছেন আইস কম্প্রেশন থেরাপি, আবার কেউ নিয়মিত ব্যবহার করছেন নরমাটেক ডিভাইস। যদিও কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না। খেলোয়াড়েরা নিজেদের প্রয়োজন ও আরাম অনুযায়ী বেছে নিচ্ছেন পদ্ধতি।
সবচেয়ে পরিশ্রমী শ্রেয়স!
এই তালিকায় সবচেয়ে উদ্যোগী যিনি, তিনি শ্রেয়স আয়ার। লিপাস বলছেন, “শ্রেয়স নিজের ফিটনেস নিয়ে খুব সিরিয়াস। ম্যাচের পরও ও নিয়ম করে নরমাটেক ব্যবহার করে। শুধু তাই নয়, দলের তরুণ ক্রিকেটারদেরও উদ্বুদ্ধ করছে একই পথে হাঁটার জন্য।” শ্রেয়স নিজের ডায়েট ও পুষ্টির দিকেও অত্যন্ত সচেতন।
নেতৃত্বে শ্রেয়স, ছন্দে পঞ্জাব
গতবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু এবার কেকেআর তাঁকে ছেড়ে দিলে, ২৬.৭৫ কোটি টাকায় তাঁকে দলে টেনে অধিনায়ক করেছে পঞ্জাব কিংস। সেই আস্থা মাটি হয়নি। চারটি ম্যাচে তিনটি জিতে বর্তমানে পঞ্জাব রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে। আগামী শনিবার হায়দরাবাদে তাদের পরবর্তী ম্যাচ।
পঞ্জাবের এই অভিনব কৌশল—শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনেরও রিকভারি—অন্য দলগুলিকেও ভাবাবে নিঃসন্দেহে। আর শ্রেয়সের নেতৃত্বে পঞ্জাব কি এবার আইপিএল ট্রফি ঘরে তুলবে? উত্তর দেবে সময়। তবে এখনই বলা যায়, ‘তরতাজা’ পঞ্জাব লড়াইয়ে রয়েছে একেবারে সামনের সারিতে।
চুম্বন নয়, কবিতার ছোঁয়ায় প্রেম ফুটল শ্রাবন্তীর খোলা পিঠে!

