Monday, December 1, 2025

১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান: চেন্নাইকে হারিয়ে কোহলির উচ্ছ্বাস

Share

চেন্নাইকে হারিয়ে কোহলির উচ্ছ্বাস!

১৭ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল চিপকের মাটিতে। চেন্নাই সুপার কিংসকে ৫০ রানে হারিয়ে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু উচ্ছ্বাসে মেতে উঠল। সেই জয়ের আনন্দে সাজঘরে নাচলেন কোহলি, আর সেই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

শুক্রবার চেন্নাইয়ের মাঠে বেঙ্গালুরু ব্যাট হাতে ১৯৬ রান তোলে। চিপকে এত বড় স্কোর তাড়া করা চেন্নাইয়ের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায়। কোহলিরা ২০০৮ সালের পর প্রথমবার চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয়ের স্বাদ পান।

আবেগের বহিঃপ্রকাশ

৩৬ বছর বয়সি কোহলি বরাবরই আবেগপ্রবণ। মাঠের সাফল্যকে তিনি উদযাপন করেন খোলা মনে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক এই জয়ের পর কোহলির সেই উচ্ছ্বাস আরও স্পষ্ট হয়। লাল জ্যাকেট পরে সাজঘরে নাচতে দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যান্য ক্রিকেটাররাও। দলীয় আনন্দ উদযাপনে ডুব দিয়েছিল গোটা বেঙ্গালুরু শিবির।

কোহলির ব্যাটিং

যদিও এ দিন ব্যাট হাতে খুব বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কোহলি। ৩০ বলে ৩১ রান করেই নুর আহমেদের বলে আউট হন তিনি। তবে অধিনায়ক রজত পটীদারের অসাধারণ ব্যাটিং বেঙ্গালুরুকে শক্তিশালী স্কোর গড়তে সাহায্য করে। পটীদার অর্ধশতরান করেন এবং দলকে ১৯৬ রানের সম্মানজনক স্কোর এনে দেন।

পটীদারের প্রতিক্রিয়া

ম্যাচের পর পটীদার বলেন, “আমার লক্ষ্য ছিল ২০০ রান তোলা। জানতাম, ওদের জন্য সেটা চেজ করা কঠিন হবে। আমি চেয়েছিলাম ক্রিজে যতক্ষণ থাকা যায়, প্রতিটি বল কাজে লাগাতে।” তিনি আরও বলেন, “চিপকে জয় পাওয়া সবসময়ই বিশেষ কিছু। পিচটা সহজ ছিল না, তবে আমরা দারুণভাবে পরিকল্পনা করে সফল হয়েছি।”

ঐতিহাসিক জয়

চিপকে টানা আটটি ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল বেঙ্গালুরু। তবে এই বার সেই পরিসংখ্যান পাল্টে দিলেন কোহলিরা। দলের সমর্থকরাও এই জয়কে স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন। কোহলি এবং তাঁর দলের এই ঐতিহাসিক জয় বেঙ্গালুরুর ক্রিকেট ইতিহাসে বিশেষভাবে লেখা থাকবে।

১৭ বছরের প্রতীক্ষার পর এমন জয় শুধু স্কোরবোর্ডে নয়, মনেও জয়ধ্বনি তুলেছে। কোহলির নাচ সেই আনন্দেরই প্রতিচ্ছবি।

বিজেপি-এডিএমকে জোট নিয়ে নতুন জল্পনা: শর্তই কি আলোচনার মূল বিষয়?

Read more

Local News