১০০ কোটির বিধায়ক কারা?
ভারতের রাজনীতিতে টাকার ছড়াছড়ি নতুন কিছু নয়। তবে ১০০ কোটির বেশি সম্পত্তির মালিক বিধায়কদের সংখ্যা ঠিক কত? আর কোন রাজ্যে এদের আধিক্য সবচেয়ে বেশি? এ নিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (ADR)।
কোন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ‘বিলিয়নেয়ার বিধায়ক’?
ভারতের ২৮টি রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪০৯২ জন বিধায়কের সম্পত্তির হিসাব তুলে ধরেছে এডিআরের রিপোর্ট। দেখা যাচ্ছে, সর্বোচ্চ ১০০ কোটির বিধায়কের সংখ্যা রয়েছে কর্নাটকে!
📌 কর্নাটকের ২২৪ জন বিধায়কের মধ্যে ৩১ জনই ‘বিলিয়নেয়ার’! অর্থাৎ, তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটির বেশি।
📌 দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানে ২৭ জন বিধায়ক এই তালিকায় আছেন।
📌 তৃতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র, যেখানে ১৮ জন বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটির বেশি।
ভারতে মোট ১০০ কোটির বিধায়ক কতজন?
ADR রিপোর্ট বলছে, সারা দেশে এমন বিধায়কের সংখ্যা ১১৯ জন। আশ্চর্যের বিষয়, এর মধ্যে মাত্র তিনটি রাজ্যেই আছেন ৭৬ জন! অর্থাৎ, এই ধনী বিধায়কদের তিন-চতুর্থাংশই কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।
ভারতের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক কে?
ভারতের শীর্ষ ধনী বিধায়ক মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক পরাগ শাহ। তিনি মুম্বইয়ের ঘাটকোপার-পূর্ব কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত এবং একজন নির্মাণ ব্যবসায়ী।
📌 দ্বিতীয় স্থানে আছেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস বিধায়ক ডি কে শিবকুমার, যার সম্পত্তির পরিমাণ ১,৪১৩ কোটি টাকা!
📌 তৃতীয় স্থানে কর্নাটকেরই নির্দল বিধায়ক পুত্তুস্বামী গৌড়া, যার সম্পত্তি ১,২৬৭ কোটি টাকা।
শীর্ষ ১০ ধনী বিধায়ক কারা?
১️⃣ পরাগ শাহ (বিজেপি, মহারাষ্ট্র) – ❝(পরিমাণ অপ্রকাশিত)❞
2️⃣ ডি কে শিবকুমার (কংগ্রেস, কর্নাটক) – 💰 ১,৪১৩ কোটি টাকা
3️⃣ পুত্তুস্বামী গৌড়া (নির্দল, কর্নাটক) – 💰 ১,২৬৭ কোটি টাকা
4️⃣ প্রিয়কৃষ্ণ (কংগ্রেস, কর্নাটক) – 💰 ১,১৫৬ কোটি টাকা
5️⃣ এন চন্দ্রবাবু নায়ডু (তেলুগু দেশম পার্টি, অন্ধ্রপ্রদেশ) – 💰 ৯৩১ কোটি টাকা
6️⃣ পি নারায়ণ (তেলুগু দেশম পার্টি, অন্ধ্রপ্রদেশ) – 💰 ৮২৪ কোটি টাকা
7️⃣ ভি পার্থসারথি রেড্ডি (তেলুগু দেশম পার্টি, অন্ধ্রপ্রদেশ) – 💰 ৭১৬ কোটি টাকা
8️⃣ জগন্মোহন রেড্ডি (ওয়াইএসআর কংগ্রেস, অন্ধ্রপ্রদেশ) – 💰 ৭৫৭ কোটি টাকা
বিধায়ক মানেই এত ধনী কেন?
এই তালিকা দেখলেই প্রশ্ন আসে, জনগণের প্রতিনিধিরা এত ধনী হন কীভাবে? রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পাশাপাশি বেশিরভাগ বিধায়কেরই ব্যবসা রয়েছে, যেখানে বিপুল পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ হয়। বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট, নির্মাণ ও খনিজ ব্যবসা এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এই সম্পত্তি সবই কি বৈধ উপায়ে উপার্জিত? নাকি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছে? 🤔
বিচ্ছেদের পর বিশাল অঙ্কের খোরপোশ দিতে হবে যুজবেন্দ্র চহল! আদালতের রায়ে আলোড়ন