Monday, December 1, 2025

লোহিত সাগরে উত্তাল পরিস্থিতি! ইরানকে শিক্ষা দিতে যুদ্ধের পথে ট্রাম্প?

Share

লোহিত সাগরে উত্তাল পরিস্থিতি!

লোহিত সাগরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। ইরানের মদতপুষ্ট হুথি বিদ্রোহীদের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আঘাতের পর নতুন করে যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি এবার সরাসরি ইরানকে লক্ষ্যবস্তু করতে চলেছেন?

হুথিদের উপরে মার্কিন হামলা, তেহরানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের উপরে বড়সড় বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এই হামলায় হুথিদের একাধিক শীর্ষনেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের। ট্রাম্পের চোখে হুথিরা শুধুই ইরানের হাতের পুতুল, আর মূল লক্ষ্যবস্তু তেহরান। ট্রাম্প খোলাখুলি হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘ইরান যদি হুথিদের সমর্থন বন্ধ না করে, তাহলে তার চরম মূল্য দিতে হবে।’’

পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে ইরান? রাশিয়া-চিনের সাহায্য নিয়ে নতুন বিপদ!

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান এখন পরমাণু শক্তিধর হওয়ার দোরগোড়ায়। তাদের এই কর্মযজ্ঞের পিছনে রাশিয়া ও চিনের গোপন মদত রয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগে মার্কিন প্রশাসন। কারণ, পরমাণু অস্ত্র হাতে পেলে ইরান সরাসরি ইজরায়েলকে নিশানা করতে পারে, যা গোটা অঞ্চলে সংঘাতের আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে।

নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াচ্ছে ইরান, লোহিত সাগরে মার্কিন আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ?

সম্প্রতি ওমান উপসাগরে চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইরান। এই মহড়া মার্কিন প্রশাসনের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। কারণ, যদি ইরান লোহিত সাগরে সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করে, তাহলে এই অঞ্চলে মার্কিন আধিপত্য বিপদের মুখে পড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর প্রভাব, বড় লোকসানের আশঙ্কা

বিশ্বের প্রায় ১২% পণ্য পরিবহণ হয় লোহিত সাগর এবং সুয়েজ খালের মাধ্যমে। ইরান যদি হুথিদের দিয়ে এই রুট বন্ধ করার চেষ্টা করে, তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশাল ক্ষতি হবে। বিশেষ করে মার্কিন ও ইউরোপীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সম্ভাবনা, ট্রাম্প কি ইরাকের পথেই হাঁটবেন?

বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ২০০৩ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে যেমন সামরিক অভিযান চালিয়েছিল আমেরিকা, তেমনই কিছু পরিকল্পনা করা হতে পারে ইরানের ক্ষেত্রেও। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হুসেনের বিরুদ্ধে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’-এর অভিযোগ তুলে বাগদাদে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। এবার ট্রাম্প ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে অজুহাত বানিয়ে বড়সড় সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

ইরান-হুথি বনাম আমেরিকা-ইজরায়েল, যুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী?

ইরানও চুপ করে বসে নেই। হুথিদের উপর মার্কিন হামলার পর পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তারা। হুথিরা মার্কিন রণতরী ‘ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান’-এর উপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আমেরিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন এবং সরাসরি ইজরায়েলের গণহত্যার সমালোচনা করেছেন।

ভারতের উদ্বেগ বাড়ছে, মোদী সরকারের অবস্থান কী হবে?

যদি ইরান ও আমেরিকার মধ্যে সংঘাত বাঁধে, তবে ভারতকেও বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কারণ, ভারত ইরান এবং ইজরায়েল দুই দেশের সঙ্গেই কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে ভারতের তেল আমদানি এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বিশ্ব

লোহিত সাগর এবং পারস্য উপসাগর এখন কার্যত আগ্নেয়গিরির মতো ধুঁকছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর মনোভাব এবং ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিশ্বকে নতুন এক যুদ্ধের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে কি না, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

পরিচালকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ! নুসরতের সই জাল, কী বলছেন প্রযোজকরা?

Read more

Local News