আমেরিকায় প্রয়াত সৈয়দ আবিদ আলি!
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করা প্রাক্তন অলরাউন্ডার সৈয়দ আবিদ আলি বুধবার আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন এই ক্রিকেটার। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ২৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এছাড়াও, দেশের হয়ে খেলেছেন পাঁচটি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
ক্রিকেট থেকে আমেরিকায় স্থায়ী বাস
অবসরের পর ক্রিকেট থেকে একেবারে সরে যাননি আবিদ। বরং, খেলাটির প্রসারে কাজ করতে আমেরিকায় পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজের বাড়িতে থেকেই যুক্ত ছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গে। ঘরোয়া ক্রিকেটে হায়দরাবাদের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ছিলেন তিনি।
অসাধারণ ক্রিকেট কেরিয়ার
১৯৬৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় আবিদের। শেষবার ভারতের হয়ে টেস্ট খেলেন ১৯৭৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্ট ক্যারিয়ারে ২০.৩৬ গড়ে ১০১৮ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি, যেখানে রয়েছে ছয়টি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ স্কোর ৮১। বোলার হিসেবেও বেশ সফল ছিলেন—৪২.১২ গড়ে নিয়েছেন ৪৭টি উইকেট। টেস্টে তাঁর সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ছিল ৫৫ রানে ৬ উইকেট।
এক দিনের ক্রিকেটেও তার দক্ষতা ছিল প্রশংসনীয়। পাঁচটি ম্যাচে ৯৩ রান করার পাশাপাশি বল হাতে সাতটি উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন। ২৬.৭১ গড়ে এক দিনের ম্যাচেও তিনি কার্যকরী অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবদান
টেস্ট ও এক দিনের ক্রিকেটের পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও চমৎকার পারফরম্যান্স ছিল আবিদ আলির। ২১২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তিনি ১৩টি শতরান এবং ৩১টি অর্ধশতরানসহ ৮৭৩২ রান সংগ্রহ করেন। তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল অপরাজিত ১৭৩। বোলিংয়ে ৩৯৭টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন তিনি, যেখানে ১৪ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে।
আমেরিকায় ক্রিকেটের প্রসারে কাজ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার পরও খেলাটির প্রতি তাঁর ভালোবাসা কমেনি। আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করার পর, সেখানে ক্রিকেটের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি কোচিং ও বিভিন্ন ক্রিকেট কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
ক্রিকেট মহলে শোকের ছায়া
সৈয়দ আবিদ আলির প্রয়াণে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তরুণ ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকা এই কিংবদন্তির প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা ও তাঁর প্রাক্তন সতীর্থরা।
ভারতের বদলার জয়: ২৫ বছর পর নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রোহিতদের হাতে

