Monday, December 1, 2025

ট্রাম্পকে কড়া বার্তা! আমেরিকা নয়, অন্যদের সঙ্গে বাণিজ্য করবে কানাডা

Share

ট্রাম্পকে কড়া বার্তা!

কানাডার রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নে। দায়িত্ব নিয়েই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন— কানাডার স্বার্থ সবার আগে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই তিনি ঘোষণা করলেন, নতুন বাণিজ্যিক মিত্র খুঁজবে কানাডা।

নতুন নেতা, নতুন বার্তা

জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডার লিবারাল পার্টির ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি সদস্য নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোট দেন। তাদের মধ্যে ৮৫.৯% ভোট পেয়ে জয়ী হন ৫৯ বছর বয়সি অর্থনীতিবিদ ও সাবেক ব্যাংকার মার্ক কার্নে। দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি আমেরিকার প্রতি কড়া বার্তা দেন।

কার্নে বলেন, “নতুন হুমকি এলে নতুন পরিকল্পনাও দরকার। আমরা আরও নির্ভরযোগ্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলব।” তিনি স্পষ্ট জানান, আমেরিকা যদি কানাডার পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করে, তাহলে কানাডাও পাল্টা শুল্ক বসাবে।

আমেরিকার ‘লোভী’ দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা

মার্ক কার্নে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, আমেরিকা শুধুই কানাডার প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণের চেষ্টা করছে। তার ভাষায়, “আমেরিকানরা আমাদের জল, জমি এবং সম্পদ লুটে নিতে চায়। ওরা পুরো কানাডাটাকেই দখল করতে চায়। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না!”

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প বারবার কানাডার শ্রমিক, তাদের পরিবার এবং ব্যবসায়ীদের ওপর আঘাত হানছেন। তবে কানাডা এত সহজে হার মানবে না। কার্নের বিশ্বাস, “হকির মাঠের মতো বাণিজ্যের ময়দানেও আমেরিকাকে হারিয়ে দেবে কানাডা!”

ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়ার আশঙ্কা

২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকা ও কানাডার সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। সীমান্ত নিরাপত্তা, বাণিজ্য চুক্তি ও শুল্ক নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন।

কার্নে মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন কানাডার অর্থনীতিকে দুর্বল করতে চাইছে। তাই কানাডা নিজেকে রক্ষা করতে নতুন বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, “আমেরিকা যতদিন না আমাদের সম্মান করবে, ততদিন পারস্পরিক শুল্ক বলবৎ থাকবে।”

স্বল্পমেয়াদি সরকার, তবে বড় চ্যালেঞ্জ

কার্নের নেতৃত্বে লিবারাল সরকার এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদ খুব বেশি দিনের নয়। কানাডায় আগামী অক্টোবরের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা।

এমনকি, তার আগেই যদি তিনি নির্বাচন ঘোষণা না করেন, তবে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে। জনমত জরিপ বলছে, আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির জয়ের সম্ভাবনা বেশি। ফলে কার্নের নেতৃত্বে লিবারালদের টিকে থাকা কঠিন হবে।

তবে আপাতত, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কানাডার অবস্থান দৃঢ় করতে চাইছেন কার্নে। সময়ই বলবে, তিনি কতটা সফল হবেন!

ভারতের বদলার জয়: ২৫ বছর পর নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রোহিতদের হাতে

Read more

Local News